মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) দুপুরে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত জাহিদুল কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার কাপড়পোড়া গ্রামের আরঙ্গজেবের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, কলারোয়া উপজেলার প্রবাসী শহীদুল ইসলামের মেয়ে একই উপজেলার থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করে ঢাকার ইডেন কলেজে ভর্তি হন। সেখানে অধ্যয়নরত অবস্থায় মেয়েটির সঙ্গে মোবাইলেন মাধ্যমে আসামি জাহিদুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে জাহিদুল তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে মেয়ের মামা তাতে রাজি হয়নি। একপর্যায়ে ২০১০ সালের ১৮ জানুয়ারি জাহিদুলসহ কয়েকজন কলারোয়া বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে মেয়েটিকে কুষ্টিয়ায় নিজের বাড়িতে নিয়ে ফের বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে মেয়েটি জানতে পারে জাহিদুলের স্ত্রী-সন্তান আছে। বিষয়টি জানতে পেরে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় তাকে ব্লাক মেইল করে বিয়েতে বাধ্য করে জাহিদুল। খবর পেয়ে মেয়েটির মামা সেখানে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে ইডেন কলেজে দিয়ে আসেন। একপর্যায়ে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ জাহিদুল মেয়েটিকে ইডেন কলেজ থেকে অপহরণ করে ফের কুষ্টিয়াতে নিয়ে যান। সেখান থেকে এক মাস পর ওই কলেজছাত্রী পালিয়ে কলারোয়ায় বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন এবং আত্মহত্যা করে।
এ ঘটনায় মেয়েটির মামা বাদি হয়ে কলারোয়া থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ জাহিদুলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
মঙ্গলবার এ মামলায় ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও নথি পর্যালোচনা করে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ধর্ষণ ও অপহরণের পৃথক অভিযোগে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।
সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহুনুল হায়দার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, আসামি পলাতক রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৮
এসআরএস