সোমবার (৬ আগস্ট) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠিতে তাদের তলব করা হয়। জানিয়েছেন, দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য।
চিঠিতে মোসাদ্দেক আলী ফালুকে ১৪ আগস্ট সকাল ১০টায় দুদকে হাজির হতে বলা হয়। এছাড়া, ওই দিন আরএকে পেইন্টস ও আশালয় হাউজিংয়ের পরিচালক এস এ কে একরামুজ্জামান, তার ছেলে আরএকে পেইন্টস ও আরএকে কনজিউমার প্রোডাক্টসের পরিচালক কামার উজ জামান, ঝুলপার বাংলাদেশ লিমিটেড ও রাকিন ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির পরিচালক সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামানকে হাজির হতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, আগামী ১৩ আগস্ট সকালে হাজির হতে বলা হয়েছে আরএকে পাওয়ার লিমিটেডের পরিচালক মাকসুদুল করিম, আরএকে সিরামিকসের স্বতন্ত্র পরিচালক ফাহিমুল হক এবং স্টার সিরামিকসের পরিচালক প্রতিমা সরকারকে।
এর আগে একই অভিযোগ অনুসন্ধানে চার ব্যবসায়ীকে ১২ আগস্ট হাজির হতে চিঠি দেয় দুদক। তলবকৃতরা হলেন- আরএকে কনজুমার প্রোডাক্টস লিমিটেডের পরিচালক মোহাম্মদ আমির হোসাইন, পরিচালক এম এ মালেক, রোজা প্রোপার্টিজ লিমেটেডের মো. আসফাক উদ্দিন আহমেদ এবং আরএকে পেইন্টস লিমেটেডের পরিচালক সাইলিন জামান আক্তার।
এর আগে গত ৩ আগস্ট এ অভিযোগে বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক আলী ফালু ও অন্য ব্যবসায়ীসহ ৯ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দুদক।
দুদক জানায়, মোসাদ্দেক আলী ফালু ও অন্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, তথ্য গোপন ও জালিয়াতিপূর্বক অবৈধ উপায়ে ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে দুবাইয়ে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। তারা বিদেশে অফশোর কোম্পানি খুলে মানিল্ডারিং ও হুন্ডির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার করেছেন। এ বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ও সংশ্লিষ্টরা দেশত্যাগ করার চেষ্টা করেছেন, এমন তথ্য থাকায় তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে দুই সদস্যের টিম এই অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান করছে। টিমের অপর সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৮
আরএম/এনএইচটি