সোমবার (৬ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর সেগুন বাগিচা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে দুদক। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।
গ্রেফতার তিনজন হচ্ছেন, সোনালী ব্যাংকের সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক মানিক চন্দ্র মণ্ডল, সোনালী ব্যাংকের খুলনা দৌলাতপুর শাখার সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার ও বর্তমান প্রিন্সিপাল অফিস খুলনার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. সিরাজুল ইসলাম ও সোনালী ব্যাংকের খুলনা দৌলাতপুর শাখার সাবেক অফিসার অজিত কুমার সরকার।
অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে বলা হয়, আসামীরা পরস্পরের যোগসাজশে মেসার্স ইস্টার্ন ট্রেডার্সের অনুকূলে ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর থেকে ২০১৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ৪৯ কোটি ৬২ লাখ ১৪ হাজার ২৩৭ টাকা ব্যাংক থেকে ঋণ উত্তোলনপূর্বক প্রতারণা, জালিয়াতি ও অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে সুদাসলে ব্যাংকের মোট ৯২ কোটি ৬৩ লাখ ৩১ হাজার ৭৫২ টাকা দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে আত্মসাৎ করেন।
এ ঘটনায় ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালে দুদকের ঢাকা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন বাদী মামলা দায়ের করেন।
এদিকে এই মামলায় ওই তিনজনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেয় দুদক। বাকি ৪ জন হলেন, মেসার্স ইস্টার্ন ট্রেডার্স, খুলনা ইন্ডাস্ট্রিজ প্রিমিসেস লি. (ইস্পাহানী) সত্ত্বাধিকারী সনজিত কুমার দাস, সোনালী ব্যাংকের দৌলাতপুর শাখা খুলনার সাবেক গোডাউন কিপার ও বর্তমানে ঝিনাইদহ মহেশপুর শাখার মো. মতিয়ার রহমান, দৌলাতপুর শাখার সাবেক এজিএম ও বর্তমানে জিএম অফিস খুলনার এজিএম মো. নজরুল ইসলাম, দৌলাতপুর শাখার সাবেক সিনিয়র অফিসার মো. রুহুল আমিন।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৮
আরএম/এনএইচটি