বুধবার (৮ আগস্ট) মামলাটির প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু পুলিশ কোনো প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এএইচএম তোয়াহা প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য করেন।
গত ৪ জুন সন্ধ্যায় শফিক তুহিন আইসিটি আইনে আসিফের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। এতে আসিফ ছাড়াও আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়।
গত ৬ জুন দিনগত রাতে রাজধানীর মগবাজারে আসিফ আকবরের স্টুডিও থেকে আসিফকে গ্রেফতার করে সিআইডি।
মামলার এজাহারে শফিক তুহিন উল্লেখ করেন, গত ১ জুন আনুমানিক রাত ৯টার দিকে চ্যানেল ২৪-এর সার্চলাইট নামক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে বাদী জানতে পারেন, আসিফ আকবর ও তার সহকারীরা অনুমতি ছাড়াই তার সংগীতকর্মসহ অন্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেছেন। এর মধ্যে এইতো জীবন/বেদনাতে নীল/ অভিমানী/স্বার্থপর/কাঁদলাম আমি কাঁদলামসহ (শফিক তুহিন) প্রায় শতাধিক।
পরে বাদী জানতে পারেন, আসিফ আকবর আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে অন মোবাইল প্রাইভেট লিমিটেড কনটেন্ট প্রোভাইডার, নেক্সনেট লিমিটেড গাক মিডিয়া বাংলাদেশ লিমিটেড ও অন্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে ট্রু-টিউন, ওয়াপ-২, রিংটোন, পিআরবিটি, ফুলট্রেক, ওয়াল পেপার, অ্যানিমেশন, থ্রি-জি কন্টেন্ট ইত্যাদি হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যবহার করে অসাধুভাবে ও প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন।
এজাহারে তিনি আরও বলেন, পরে এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ জুন রাত ২টা ২২ মিনিটে বাদী তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির এ ঘটনা উল্লেখ করে একটি পোস্ট দেন। তার ওই পোস্টের নিচে আসিফ আকবর নিজের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে অশালীন মন্তব্য ও হুমকি দেন। পরের দিন রাত ৯টা ৫৯ মিনিটে আসিফ আকবর তার প্রায় ৩২ লাখ লাইকার সমৃদ্ধ ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন। ৫৪ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড লাইভ ভিডিওর ২২ মিনিট থেকে বাদীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা-বানোয়াট বক্তব্য দেন। ভিডিওতে আসিফ আকবর তাকে (শফিক তুহিন) শায়েস্তা করার কথা বলার পাশাপশি ভক্তদের যেখানে বাদীকে পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিহত করার নির্দেশ দেন।
তবে আসিফ আদালতে এসব কথা অস্বীকার করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৮
এমআই/এএ