এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি ফরিদ আহমেদ বুধবার (৮ আগস্ট) এ রায় দেন। স্বাস্থ্য সচিবকে আদালতের এ আদেশ পালন করতে হবে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম, আনিতা গাজী রহমান ও আইনজীবী শারমিন আক্তার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক।
পরে আইনজীবী রাশনা ইমাম সাংবাদিকদের বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ২০১৮ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের করা এ সংক্রান্ত নীতিমালার দু’টি অংশে আদালতের পর্যবেক্ষণ যুক্ত করে নীতিমালাটি গেজেট আকারে দুই মাসের মধ্যে প্রকাশ করার নির্দেশ দেন।
২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি আরাফাত নামে এক বাসের হেলপার পা পিছলে নিচে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নেওয়া হলে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। সেই আহত ব্যক্তিকে পরে অন্য আরো দু’টি হাসপাতালে নেওয়া হলে একইভাবে প্রত্যাখ্যাত হতে হয়। শেষ পর্যন্ত গুলশান থানা থেকে একজন উপ পরিদর্শকের (এসআই) সহায়তায় তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিয়ে আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড ট্রাস্ট সার্ভিসেস (ব্লাস্ট) ও সৈয়দ সাইফুদ্দীন কামাল। এ রিটের শুনানি নিয়ে ওই বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের জরুরি চিকিৎসা সেবা দিতে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশসহ কয়েকটি আদেশ দিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
আদেশে হাইকোর্ট স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে দুর্ঘটনাজনিত কারণে আঘাতপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তিকে জরুরি চিকিৎসা সেবা দিতে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তি বা দুর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত কোনো ব্যক্তি যদি সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন তবে, তাদের সুরক্ষার জন্য একটি নির্দেশনা তৈরি করার নির্দেশ দেন। ওই আদেশ অনুসারে সরকার নীতিমালা তৈরি করে আদালতে দাখিল করে।
রাশনা ইমাম জানান, বুধবার আদালত ওই নীতিমালায় দু’টি পর্যবেক্ষণ যোগ করতে বলেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৮
ইএস/এসআই