ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

শিশু রাইফার পরিবারকে কেন ক্ষতিপূরণ নয়: হাইকোর্ট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৮
শিশু রাইফার পরিবারকে কেন ক্ষতিপূরণ নয়: হাইকোর্ট শিশু রাইফা ও অভিযুক্ত ম্যাক্স হাসপাতাল

ঢাকা: চট্টগ্রামের বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় শিশু রাইফা খানের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

রাইফার বাবার করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

গত বৃহস্পতিবার (০৯ আগস্ট) এ রিট আবেদনটি দায়ের করেন রাইফার বাবা দৈনিক সমকালের সাংবাদিক মোহাম্মদ রুবেল খান।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ এনাম।

পরে ব্যারিস্টার এনাম জানান, চট্টগ্রামের বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় শিশু রাইফা খানের মৃত্যর ঘটনায় তার পরিবারকে কেন যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না, অবহেলায় হাসপাতালসহ জড়িত ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কেন যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং চিকিৎসার অবহেলায় বা ভুল চিকিৎসায় মারা গেলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য কেন নীতিমালা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে ‍রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল), বাংলাদেশ মেডিকেল এবং ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সভাপতি, ম্যাক্স হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট ৩ চিকিৎসককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আবেদনে এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদ যুক্ত করা হয়।

ওইসব প্রতিবেদনে বলা হয়, গলার ব্যথাজনিত কারণে ভর্তি হওয়ার পর গত ২৯ মে ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ২ বছর ৪ মাস বয়সী শিশু রাইফা। চিকিৎসকের অবহেলায় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে অভিযোগে তোলপাড় সৃষ্টি হলে ঘটনার তদন্তে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকীকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠিত হয়।

কমিটির অপর দুই সদস্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক সবুর শুভ। কমিটিকে ৫ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, শিশুটির রোগ নির্ণয়, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ওষুধ প্রয়োগ যথাযথ থাকলেও অভিযুক্ত তিন চিকিৎসক শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. বিধান রায় চৌধুরী, ডা. দেবাশিষ সেন গুপ্ত ও ডা.শুভ্র দেব শিশুটির রোগ জটিলতাকালীন কর্তব্যে অবহেলা করেছেন।

রাইফার যখন খিঁচুনি হয় তখন তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্স ছিলেন না। এর আগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া প্রতিবেদনে ম্যাক্স হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়ম ও ত্রুটি নিয়ে ১১টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। ১৫০ শয্যার এ হাসপাতালে লাইসেন্স নবায়নে ত্রুটি, হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর কোনো নিয়োগপত্র না থাকা, প্যাথলজি বিভাগ ও চিকিৎসকের কোনো তথ্য নেই বলে জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৮
ইএ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।