সোমবার (২০ আগস্ট) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিবিআই) কোনো প্রতিবেদন দাখিল না করায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ দিন ধার্য করেন।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চলচ্চিত্র নায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ। সে সময় এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছিলেন তার বাবা প্রয়াত কমর উদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করার আবেদন জানান তিনি।
অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়টি একসঙ্গে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত। পরে র্যাবের হাত ঘুরে তদন্তের দায়িত্ব পান পিবিআই।
সালমান শাহের মৃত্যুর ঘটনাটি তদন্ত করে ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি।
চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়। সিআইডি’র প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তার বাবা কমর উদ্দিন আহমদ চৌধুরী রিভিশন মামলা দায়ের করেন।
২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত। এরপর প্রায় ১২ বছরে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে ছিল। দীর্ঘদিন ধরে বাদীপক্ষ আদালতে সাক্ষী হাজির না করায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল বিলম্বিত হয়।
অবশেষে গত বছরের ৩ আগস্ট ঢাকার সিএমএম বিকাশ কুমার সাহার কাছে বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। এ প্রতিবেদনে সালমান শাহের মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
মামলার বাদী সালমান শাহের বাবা কমর উদ্দিন আহমদ চৌধুরী মারা যাওয়ায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি সালমান শাহ’র মা নীলা চৌধুরী বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবেদনের উপর নারাজি দাখিল করেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৮
এমআই/জেডএস