রোববার (২৬ আগস্ট) এ দণ্ড ঘোষণা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু শামীম আজাদ।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিত সুমন পলাতক ছিলেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান জানান, গৌরনদী উত্তর বিজয়পুর গ্রামের বাসিন্দা সাবেক পুলিশ সদস্যের মেয়েকে বিয়ে করেন তৌহিদ। বিয়ের পর তৌহিদ কুয়েত চলে যাওয়ায় বিভিন্ন সময় সুমন ওই গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন।
এতে প্রতিবাদ করায় ২০০৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি গৃহবধূ তার মামার বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হলে বিজয়পুর ব্রিজের উপর থেকে তাকে অপহরণ করেন সুমন। পরে ঢাকা নিয়ে বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় ১৪ মার্চ গৃহবধূর মা বাদী হয়ে সুমনসহ ৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা করেন।
একই বছরের ২৮ এপ্রিল সুমনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট জমা দেন গৌরনদী থানার এসআই সালাম মোল্লা।
মামলায় ১৪ জনের মধ্যে ৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন বিচারক।
পরে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অপহরণের অপরাধে ১৪ বছরের কারাদণ্ড এবং ধর্ষণের অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছরের দণ্ড দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, আগস্ট, ২৬, ২০১৮
এমএস/এনএইচটি