ঢাকা পুরাতান কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ী আদালত স্থাপন করা নিয়ে বৃহস্পতিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) সকালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন; যিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন।
গত ৪ সেপ্টেম্বর কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিচার কাজ সম্পন্ন করতে পুরাতন ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ী আদালত স্থাপন করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। এরপর ৫ সেপ্টেম্বর (বুধবার) ওই আদালতে বিচার কাজও শুরু হয়।
একই সঙ্গে বুধবার ওই আদালত স্থাপনে জারি করা গেজেট বাতিল করতে আইন সচিবের কাছে খালেদা জিয়ার পক্ষে লিগ্যাল নোটিশও পাঠিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। এতে লিখিত বক্তব্যে জয়নুল আবেদীন বলেন, সংবিধানের আর্টিকেল ৩৫(৩) এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫২ ধারা মোতাবেক আদালত বলতে একটি উন্মুক্ত আদালতের কথা বলা হয়েছে।
‘যেখানে যে কোনো পাবলিকের সাধারণভাবে প্রবেশাধিকার থাকে। কিন্তু কারাগারের যে ৭ নম্বর কক্ষটিকে আদালত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে তা সংবিধানের ৩৫(৩) এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫২ ধারা মোতাবেক কোনো উন্মুক্ত আদালত নয় বা হতে পারে না। ’
তিনি বলেন, ‘ওই আদালতে পাবলিক তো দূরের কথা খালেদা জিয়া ও অন্যান্য আসামিদের নিয়োজিত আইনজীবী, আসামিদের আত্মীয়-স্বজন কিংবা দলীয় নেত্রী হিসেবে খালেদা জিয়ার নেতা কর্মীদের প্রবেশ এবং আদালতের কার্যক্রম দেখা বা শ্রবণ করার কোনো সুযোগ নাই। ’
জয়নুল আবেদীন বলেন, কারা অভ্যন্তরে গঠিত আদালতটি মোটেই উন্মুক্ত আদালত না হওয়ায় এবং সেখানে পাবলিক ট্রায়াল হওয়ার কোনো সুযোগ না থাকায় এরূপ বেআইনি আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলার বিচার কার্যক্রম চলার আইনগত কোনো সুযোগ নেই।
সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৮
ইএস/এমএ