তাদের দাবি, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ না করেই এ আদালত স্থানান্তর করা হয়েছে। তাই বিষয়টি দেখার জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে লিখিতভাবে আবেদন করেছেন।
গত ৪ সেপ্টেম্বর আইন মন্ত্রণালয় একটি গেজেট জারি করে। ওই গেজেটে বলা হয়, ‘নিরাপত্তাজনিত কারণে’ সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালত থেকে নাজিমুদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের কক্ষ নম্বর-৭ কে অস্থায়ী আদালত ঘোষণা করা হয়েছে। এখন থেকে সেখানেই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলার বিচার কাজ সম্পন্ন হবে।
এ বিষয়ে রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মীর নাসির উদ্দীন এবং ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল।
সাক্ষাতের পর জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, দেশের সংবিধানের গার্ডিয়ান হচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট। আর সুপ্রিম কোর্টের অভিভাবক প্রধান বিচারপতি। এটা সুপ্রিম কোর্টের পাওয়ার। এটা সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে কনসাল্ট না করে এ ধরণের কোনো কোর্ট প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে না। এটা আমরা বলেছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রধান বিচারপতিকে বলেছি, আপনি (প্রধান বিচারপতি) এ জুডিশিয়ালের অভিভাবক। আমরা মনে করি, আপনার সুপ্রিমেসি, মাসদার হোসেন মামলার পরে এ সুপ্রিম কোর্টের সুপ্রিমেসি অবশ্যই থাকতে হবে। তাই আপনার সঙ্গে কনসাল্ট না করে এ ধরণের গেজেট নোটিফিকেশন জারি করা বিচার বিভাগের জন্য খুবই দুঃখজনক। আপনার কনসালটেশন ছাড়া এভাবে কোনো বিচারালয় স্থানান্তর করতে পারে না।
প্রধান বিচারপতি পৌনে এক ঘণ্টা ধৈর্য সহকারে আমাদের কথা শুনেছেন। আমরা আশা করি, তিনি বিষয়টি বিবেচনা করবেন। তিনি বলেছেন, দেখবো।
** বিশেষায়িত হাসপাতালে খালেদার চিকিৎসা চেয়ে রিট
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৮
ইএস/আরবি/