দু’টি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) রুলসহ এ আদেশ দেন।
ওই ঘটনায় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ যুক্ত করে গত ৯ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট দু’টি করা হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেছুর রহমান।
পরে মনজিল মোরসেদ বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ ও জলাধার সংরক্ষণ আইন ২০০০ এর বিধান অনুযায়ী নদীর জায়গা দখল, ভরাট করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু সেসব আইন অমান্য করে নারায়ণগঞ্জের মেঘনা নদীতে ‘আমান ইকোনোমিক জোন’ এবং মেনিখালী নদীতে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ভরাট ও দখল অব্যাহত রেখেছেন।
তিনি বলেন, আদালত রুল জারি ও নদী দখল, ভরাট ও নির্মাণকাজের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকা জরিপের জন্য একটি কমিটি গঠন করতে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন। ওই কমিটি ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
রুলে হাইকোর্ট নদী দখল বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং ভরাটকৃত মাটি, স্থাপনা অপসারণের জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন। একইসঙ্গে সিএস-আরএস রেকর্ড অনুযায়ী নদী দু’টিকে সংরক্ষণের জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ ও পানিসম্পদ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিটিএ)’র চেয়ারম্যান, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট ১২ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬,২০১৮
ইএস/জেডএস