সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মকবুল আহসানের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সর্বশেষ সাক্ষী ছাতকের বাতিরকান্দির রফিক আহমদ ও আজমান আলী সাক্ষ্য দেওয়াকালে হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর জানিয়েছেন, ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত। দু’জন অসুস্থ থাকায় তাদের সাক্ষ্য নেওয়া হবে না। আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করতে আবেদনও করা হয়েছে।
তিনি জানান, আগামী তারিখ থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের সাক্ষ্য নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার আদালতে জবানবিন্দকালে গ্রেফতারকৃত আসামি মসজিদের ইমাম শুয়াইবুর রহমান সুজনের উদৃতি দিয়ে সাক্ষী রফিক আহমদ বলেন, স্কুলছাত্র ইমনকে জাহেদ বিষপান করায়। ইমন তখন বমি করে। পরে ইমনকে শুইয়ে ছালেহ আহমদ তার পা ও বুক চেপে ধরে। জাহেদ হাত ও সুজন মাথা ধরে। রফিকুর রহমান ছুরি দিয়ে ইমনকে জবাই করে। পরে তাকে বস্তায় ভরে ডোবায় গর্ত করে রাখে। এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর ইমনের মা শামীমা বেগমসহ দু’জন সাক্ষ্য দেন।
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের বাতিরকান্দি গ্রামের সৌদি প্রবাসী জহুর আলীর ছেলে ও লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট কারখানার কমিউনিটি বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির ছাত্র ইমনকে ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ অপহরণ করা হয়। পরে মুক্তিপণের টাকা পাওয়ার পরও অপহরণকারীরা তাকে হত্যা করে।
৮ এপ্রিল মোবাইল ট্যাকিংয়ের মাধ্যমে সিলেটের কদমতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে শিশু ইমনের হত্যাকারী ঘাতক ইমাম সুয়েবুর রহমান সুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, বিষের বোতল ও রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার করে। তার দেখানো মতে বাতিরকান্দি হাওর থেকে ইমনের মাথার খুলি ও হাতের হাড় উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, মামলাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৬ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর মামলাটি ট্রাইব্যুনালে ওঠে। মধ্যখানে বিরতির পর গত ২ আগস্ট থেকে আবার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন আদালত। মঙ্গলবার মানিত সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮
এনইউ/আরবি/