মঙ্গলবার (০৫ মার্চ) অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ-৮ এর বিচারক ফারহানা ফেরদৌস এ আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি জীবনের সঙ্গে ভিকটিম রাশিদা বেগমের বড়মেয়ে সুমীর বিয়ে হয়।
সুমী মারা যাওয়ার পর জীবন তার সন্তানদের নিজের কাছে নেয়ার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন। আদালত বাচ্চাদের রাশিদা বেগমের কাছে রাখার আদেশ দেন। এর মাঝেই জীবন বাচ্চাদের দেখার কথা বলে রাশিদা বেগমের বাসায় আসা-যাওয়া করতেন।
২০১৬ সালের ৪ জুলাই ওই বাসায় দুই সন্তানকে নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে জামাই-শাশুড়ির মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রাশিদা বেগমকে কুপিয়ে জখম করেন জীবন।
পরে রাশিদা বেগমের মেয়ে সীমা এবং তার নাতনি বন্যা ঠেকাতে গেলে তাদেরও কুপিয়ে জখম করা হয়। রাশিদা বেগম ঘটনাস্থলেই মারা যান। ওইদিন বিকেলে বন্যা ঢাকা মেডকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। আর ৬ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সীমা।
ওই ঘটনায় ভিকটিম রাশিদা বেগমের ছোটভাই সাহাবুদ্দিন বাদী হয়ে ২০১৬ সালের ৬ জুলাই চকবাজার থানায় জীবনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
ওই বছরের ৯ আগস্ট পুলিশ আসামি জীবনকে গ্রেপ্তার করে দুইদিনের রিমান্ডে নেয়। রিমান্ড শেষে আসামি আদালতে ১৬৪ ধারা হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
পরবর্তীতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হক একই বছর ২৫ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা দেন। ২০১৭ সালের ৯ মে আদালত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার কাজ শুরু করেন। মামলায় ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শেষে মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন মো. মাজহারুল হক। আর আসামি পক্ষে ছিলেন জামিল আহম্মেদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৯
এমএআর/এমএ