সুপ্রিম কোর্ট গার্ডেনে বুধবার (৬ মার্চ) নারী আইনজীবী আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উদযাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, নারীদের অবদানের স্বীকৃতি প্রদান এবং তাদের প্রতি সম্মান জানানোর লক্ষ্যে ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়।
তিনি বলেন, নারীর অধিকার আদায় এবং সমমর্যাদার বিষয়টি আমাদের রাষ্ট্রীয় চিন্তা ও নীতিতেও প্রতিভাত হচ্ছে। বাংলাদেশে সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগের ফলে সকল ক্ষেত্রে নারীর প্রভূত উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন আদালতে নারী বিচারক ও আইনজীবীদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে- যা সত্যিই আশাব্যঞ্জক। নারীরা ব্যবসা বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিজদেরকে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, নারীদের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং রাষ্ট্রের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে বর্তমান জেন্ডার ইক্যুলিটি অ্যাণ্ড জেন্ডার জাস্টিস এর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের রোল মডেল হতে পারে। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ নারী সংক্রান্ত ইস্যুতে অনেক সংবেদনশীল, যা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রায়ে প্রতিফলিত হয়েছে। পারিবারিক সহযোগিতা ও ইতিবাচক সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বিচার বিভাগ ও আইন পেশায় নারীর বলিষ্ঠ পদচারণা বৃদ্ধি করতে পারে। কাজেই ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হলে নারীদের নব উদ্যমে পেশাদারিত্ব অর্জনের মাধ্যমে নেতৃত্ব দেয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাইমা হায়দার ,বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৯
ইএস/এমজেএফ