এছাড়া এক নারীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা অন্য এক মামলায় একই ব্যক্তিকে সাত বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) সকাল ১১টায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় দেন।
বিজয় কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার নওদা ক্ষেমিরদিয়া গ্রামের সাহাবুল ইসলামের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, স্ত্রী ববিতা খাতুনকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার অভিযোগে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ভেড়ামারা থানায় মেয়েটির বাবা কালু মালিথা বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে আসামি করা হয় বিজয়কে। পরে মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। এদিকে, ২০১৩ সালের ২৪ জুন একটি মেয়েকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ২৫ জুন বিজয়ের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ভিকটিমের মা। এ মামলার তদন্ত শেষে একই বছরের ২৪ জুলাই বিজয়ের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এরপর স্ত্রী হত্যা মামলাটির তদন্ত শেষেও ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর বিজয়কে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর আকরাম হোসেন দুলাল জানান, দীর্ঘ শুনানি ও নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে অভিযোগ দু’টির প্রমাণ পাওয়ায় বৃহস্পতিবার এ রায় দেন আদালত। আসামি একই ব্যক্তি হওয়ায় মামলা দু’টির বিচার কাজ একসঙ্গেই শেষ করা হয়। সাজাভোগও একই সঙ্গে চলবে। ২০১৪ সালের অক্টোবর থেকে বিজয় হাজতে আছেন। তার সাজার মেয়াদ থেকে হাজতবাসের সময় কাটা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৯
এসআই