ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মৌসুমি ফলে ফরমালিন পায়নি বিএসটিআই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৯
মৌসুমি ফলে ফরমালিন পায়নি বিএসটিআই বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইউস্টিটিউট

ঢাকা: এবারের মৌসুমি ফলের নমুনায় ফরমালিন বা কার্বাইডের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি বলে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইউস্টিটিউট (বিএসটিআই) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।

সংস্থাটির ১১৪টি অভিযান পরিচালনা করে এ তথ্য জানিয়েছে।  

সোমবার (২৬ আগস্ট) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দখিল করা হয়।

গত ২৩ জুন (রোববার) মৌসুমি ফলে কেমিক্যালের ব্যবহার হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে দুই মাসের মধ্যে বিএসটিআইকে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এ আদেশ অনুসারে প্রতিবেদন দেয় বিএসটিআই।

আদালতে রিটকারী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। বিএসটিআই’র পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সরকার এম আর হাসান।

পরে মনজিল মোরসেদ বলেন, বিএসটিআই প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে এবারের মৌসুমি ফলে ফরমালিন ও কার্বাইডের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। আদালতের অবকাশকালীন ছুটির পর এ বিষয়টি কার্যতালিকায় আসবে বলে আদেশ দেন আদালত।

গত ২০ মে এক আদেশে হাইকোর্ট ফলে কেমিক্যাল ব্যবহাররোধে সারাদেশের ফলের বাজার ও আড়তে নজরদারি করতে পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিএসটিআই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক, র‌্যাবের মহাপরিচালক, বিএসটিআই’র কেমিক্যাল টেস্টিং উইংয়ের পরিচালককে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। সাতদিনের আদেশ পালন করে ১৮ জুন (রোববার) বাস্তবায়ন প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিলো।

১৮ জুন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেছিলেন, বিএসটিআই ও র‌্যাবের পক্ষ থেকে দুটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়েছে। পুলিশের প্রতিবেদনটা এসেছে কিন্তু দাখিল করার জন্য প্রস্তুত করতে না পারায় সময় আবেদন করেছিলাম। আদালত ২৩ জুন পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছেন। একই সঙ্গে ওইদিন প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।

২৩ জুন বিএসটিআই, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও র‌্যাবের মহাপরিচালকের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

এরপর আদালত মৌসুমি ফলে কেমিক্যালের ব্যবহার হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

গত ৯ এপ্রিল রাজশাহীসহ দেশের বড় আমবাগানে কেমিক্যালের ব্যবহার রোধে সাত দিনের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে তদারকি করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

আবেদনের পর মনজিল মোরসেদ বলেছিলেন, এক আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি আমবাগানের বিষয়ে সাত দফা নির্দেশনা দিয়ে হাইকোর্ট রায় দেন। কিন্তু হঠাৎ করে আমরা দেখছি গতবছরের কেমিক্যাল ব্যবহারের প্রবণতা। একারণে আবেদন করেছি নির্দেশনাটা ফের দেওয়ার জন্য।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৯
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।