কক্সবাজারের এক বাসিন্দা এ রিট করেন। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনের পক্ষের আইনজীবী জামান আক্তার বুলবুল।
সৌদি আরব ছাড়া অপর চার দেশ হলো- ইরাক, সিরিয়া, লেবানন ও জর্ডান।
রিট আবেদনে আইন, স্বরাষ্ট্র ও প্রবাসী কল্যাণ সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারককে এতে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনে মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল স্থাপনে বিবাদীদের ব্যর্থতা, মানবপাচার প্রতিরোধে ২০১২ সালে করা মানবপাচার দমন ও প্রতিরোধ আইন কার্যকর করতে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া এবং আইনি সুরক্ষা ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের ৫টি দেশে নারী কর্মী পাঠানো বন্ধ রাখার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে রিটকারীর এক শিশুর বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনের মামলার কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
গত বছর রামুর হাজিপাড়ার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম (৪১) চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে একটি পিটিশন মামলা করেন। মামলায় রামুর চাকমারকুল এলাকার ওই শিশুসহ ৬ জনকে আসামি করেন। ঘটনা দেখানো হয় ২০১৪ সালের ২০ জুন রাত এবং ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর।
অভিযোগে বলা হয়, বিনা খরচে মালয়েশিয়ায় ভালো বেতনে কাজ দেবে বলে ওই বছরের ২১ জুন সাগরে ছোট নৌকা দিয়ে তাকে জাহাজে তুলে দেওয়া হয়। কয়েকদিন পরে জাহাজ থেকে থাইল্যান্ডে উপকূলীয় পাহাড়ের জঙ্গলে নামিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে দালালরা মারধর করে মুক্তিপণ দাবি করে। মোবাইল ফোনে স্বজনদের কাছ থেকে ওই শিশুসহ এক ও দুই নম্বর আসামি দুই লাখ টাকা নেন। পরে আরও এক লাখ টাকা নেওয়ার পর মালয়েশিয়া পৌঁছান নুরুল ইসলাম। ২০১৭ সালের জুন মাসে মালয়েশিয়া অভিযানকালে তিনি আটক হন। এক বছর জেল খাটার পর দেশে ফেরত এসে মামলা করেন।
পরে হাইকোর্টে আবেদন করে ২৮ অক্টোবর জামিন পান ওই শিশু।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
ইএস/জেডএস