অপর দুজন হলেন- সংগঠনটির ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্য ও মেহেদি হাসান শান্ত।
তিন দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) তাদের আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদার।
গত ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মইনুল ইসলাম এই তিনজনকে তিনদিনের রিমান্ডে পাঠান।
তার আগে ২২ ডিসেম্বর ডাকসুর সহ-সভাপতি নুরুল হক নুরের রুমসহ ডাকসু ভবনে ভাঙচুর চালায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। এসময় নুরসহ আহত হয়েছেন প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় পরদিন ২৩ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন ও ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্যসহ তিনজনকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডাকসু ভিপিসহ শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় ২৪ ডিসেম্বর শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) রইচ উদ্দীন বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় আসামি হিসেবে আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়। তারা হলেন- মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সভাপতি এ এস এম সনেট, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্য, এ এফ রহমান হল শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক ইমরান সরকার, কবি জসিম উদ্দিন হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াদ আল রিয়াদ (হল থেকে অস্থায়ী বহিষ্কৃত), জিয়া হল শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম মাহিম ও মাহবুব হাসান নিলয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ জনকে মামলায় আসামি করা হয়।
পরে আল মামুনসহ আটক তিনজনকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৯
কেআই/জেডএস