১৩ বছর আগে দায়ের করা এক মামলায় মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) এ রায় দেন ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ব্যাংকের এভিপি সৈয়দ মাহমুদ হাসান ও মহিউদ্দিন আহমেদ এবং একই শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তৌহিদ উদ্দিন খন্দকার।
অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় রায়ে মাহজাবীন চৌধুরী নামে একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। দণ্ডিত তিন আসামিই পলাতক রয়েছেন।
অস্তিত্বহীন মেসার্স বায়োনিক ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে চার কোটি ১ লাখ ৮৯ হাজার ২৯৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন কোতোয়ালি থানায় এ মামলা দায়ের করেন। প্রায় এক দশক পর ২০১৬ সালের ১০ মার্চ মামলাটি তদন্ত করে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।
অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ দেওয়ার মাধ্যমে পরষ্পর যোগসাজশে ওরিয়েন্টাল ব্যাংক বংশাল শাখা থেকে চার কোটি ১ লাখ ৮৯ হাজার ২৯৮ টাকা আত্মসাত করেছেন। সুদসহ ওই টাকার খেলাপির পরিমাণ দাঁড়ায় চার কোটি ৫৪ লাখ ৪২ হাজার ৭৫৫ টাকা।
২০১৭ সালে এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। দুই বছরে অভিযোগপত্রে উল্লিখিত রাষ্ট্রপক্ষের মোট সাতজন সাক্ষীর ছয়জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
খালাস প্রাপ্ত মাহজাবিনের আইনজীবী আমিনুল গণী টিটো বাংলানিউজকে বলেন, মাহজাবিন চৌধুরী প্রথম দফায় ৭৫ লাখ টাকার বিপরীতে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে বন্ধক দেন। তার বন্ধক রাখা সম্পত্তি ব্যাংকের অনুকূলে অন্য মামলায় ব্যাংক মালিকানা নিয়ে নেয়। তবে পরবর্তীতে ব্যাংক কর্মকর্তারা মাহজাবিনের অজ্ঞাতে বন্ধকের বিপরীতে ঋণের সীমা বাড়িয়ে নেয়। তাই এ খেলাপি ঋণ আত্মসাতে তার কোনো দায় নেই বলে আমরা আদালতে বলেছি। আদালত আমাদের বক্তব্যে সন্তুষ্ট হয়ে তাকে খালাস দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯
কেআই/ওএইচ/