আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে করা মামলায় ওই পুলিশ সদস্যের স্ত্রী সৈয়দা হাবিবুন্নাহার ওরফে নাহিন এবং শাশুড়ি রুনিয়া বেগমকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইলিয়াস মিয়ার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ওই পুলিশ সদস্যের মা সৈয়দা হেলেনা খাতুন।
বাদীর জবানবন্দিগ্রহণ শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বাদীর অভিযোগ, আবদুল কুদ্দুসের স্ত্রী নাহিন পরকীয়ায় আসক্ত ছিলেন। দুই পরিবারের সমঝোতার পরও তার স্বভাবে পরিবর্তন হয়নি। বিষয়টি শাশুড়িকে জানালে নারী নির্যাতন মামলা করে চাকরি হারানোর ভয় দেখান তিনি। এসব কারণে প্ররোচিত হয়ে তার ছেলে আ. কুদ্দুস আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
বাদীর আইনজীবী ইশরাক হাসান জানান, আব্দুল কুদ্দুস পুলিশ সদস্য হওয়া সত্ত্বেও তার মা পল্লবী থানায় এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে মামলা নেওয়া হয়নি। তাই তিনি আদালতে এই মামলা দায়ের করলেন।
গত ২৩ জানুয়ারি ভোর ৫টার দিকে মিরপুর-১৪ নম্বর পুলিশ লাইন মাঠে নিজের লাইসেন্স করা অস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন আব্দুল কুদ্দুস। তিনি মিরপুর-১৪ নম্বর ব্যারাকে থাকতেন, পদবি ছিলো নায়েক। তিনি হবিগঞ্জের মাধবপুর এলাকার বাসিন্দা।
আত্মহত্যার আগে ফেসবুক স্ট্যাটাসে ওই পুলিশ সদস্য লেখেন, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করবো না। আমার ভেতরের যন্ত্রণাগুলো অনেক বড় হয়ে গেছে। আমি আর সহ্য করতে পারছি না। ’
‘‘প্রাণটা পালাই পালাই করছে...। তবে সকল অবিবাহিতগণের প্রতি আমার আকুল আবেদন, আপনারা পাত্রী পছন্দ করার আগে পাত্রীর ‘মা’ ভালো কি-না সঠিকভাবে খবর নিবেন। কারণ পাত্রীর ‘মা’ ভালো না হলে, পাত্রী কখনই ভালো হবে না। ফলে আপনার সংসারটা হবে দোযকের মতো। সুতরাং সকল সম্মানীত অভিভাকগণের প্রতি আমার শেষ অনুরোধ, বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব দিবেন। আল্লাহ হাফেজ...।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, উত্তর বিভাগ (এসটিএফ), মিরপুর-১৪, ঢাকা। ’’
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২০
কেআই/এমএ