ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

হাইকোর্টে ভার্চ্যুয়ালি ডিভিশন বেঞ্চও বসবে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩০ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২০
হাইকোর্টে ভার্চ্যুয়ালি ডিভিশন বেঞ্চও বসবে হাইকোর্ট

ঢাকা: মহামারি করোনাকালে ভার্চ্যুয়াল একক হাইকোর্ট বেঞ্চের পাশাপাশি ডিভিশন (দ্বৈত) বেঞ্চ বসবে।

বুধবার (৮ জুলাই) ফুলকোর্ট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।


 
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফুলকোর্ট সভায় সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিগণ ছিলেন। সভায় উচ্চ আদালত ও অধস্তন আদালতের কার‌্যক্রমের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।  
 
সভায় লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়ানো এবং করোনা পরিস্থিতিতে একক বেঞ্চের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ডিভিশন বেঞ্চ (দুইজন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত) চালুর সিদ্ধান্ত হয়।
 
এর আগে সোমবার (৬ জুলাই) ফুলকোর্ট সভার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
 
রেজিস্ট্রার জেনারেল স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘উপযুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে আগামী ৮ জুলাই বিকেল ৪টায় ফুলকোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হবে’।

সভার আলোচ্যসূচির বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১.আদালতের কার্যক্রম ও ভার্চ্যুয়াল কোর্টের লজিস্টিক সম্পর্কে আলোচনা। ২. বিবিধ।
 
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতে সাধারণ ছুটিতে আদালত বন্ধ রেখে গত ২৬ এপ্রিল ভার্চ্যুয়াল কোর্ট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এজন্য সুপ্রিম কোর্টের রুলস কমিটি পুনরায় গঠন এবং ভার্চ্যুয়াল কোর্ট চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
সেদিন প্রথমবারের মতো ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান বিচারপতির সভাপতিত্বে ফুলকোর্ট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগের ৮৮ জন বিচারপতি।

এ অবস্থায় গত ৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালতে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

২ দিন পর ৯ মে ভার্চ্যুয়াল কোর্ট সম্পর্কিত অধ্যাদেশ জারি করা হয়। অধ্যাদেশে বলা হয়, সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ বা ক্ষেত্রমত হাইকোর্ট বিভাগ, সময় সময়, প্র্যাকটিস নির্দেশনা (বিশেষ বা সাধারণ) জারি করতে পারবে।

পরে ১০ মে ভিডিও কনফারেন্সে সব বিচারপতিদের সঙ্গে বৈঠকের পর (ফুলকোর্ট) ভার্চ্যুয়াল কোর্ট চালুর সিদ্ধান্ত হয়।  
 
পরে ৮ জুলাই রোববার বিলটি সংসদে পাস হয়।
 
করোনা ভাইরাসের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে সরকারি আদেশের সঙ্গে মিল রেখে আদালত অঙ্গনেও সাধারণ ছুটি ছিল। পরে দফায় দফায় সাধারণ ছুটিরও মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত ১৬ মে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণ ছুটির মেয়াদ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে সরকার ৩০ মের পর সাধারণ ছুটি আর বাড়ায়নি। কিন্তু পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর‌্যন্ত ভার্চ্যুয়াল আদালত চলবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্ট।

বাংলাদেশ সময়: ২৩২৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২০
ইএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।