ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

দুদক কর্মকর্তা নিয়ে রিটে ভুয়া আদেশে জড়িতদের খুঁজতে নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২১
দুদক কর্মকর্তা নিয়ে রিটে ভুয়া আদেশে জড়িতদের খুঁজতে নির্দেশ

ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনের বদলির আদেশ চ্যালেঞ্জ করে মানবাধিকার সংগঠনের নামে রিট আবেদন দাখিল, ভুয়া আদেশ তৈরি ও পত্র পত্রিকায় সরবরাহের সঙ্গে কে বা কারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


 
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) এ নির্দেশ দেন।
 
আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছেন, সাংবাদিকদের সতর্ক করে দিচ্ছি। ভবিষ্যতে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন। রিপোর্ট প্রকাশের আগে যেকোনো তথ্যের সত্যতা ভালো করে যাচাই-বাছাই করে নেবেন। পাশাপাশি রিট আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবীকে সতর্ক করে দিয়ে আদালত বলেছেন, আপনাকে বার কাউন্সিলে পাঠালাম না। তবে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক থাকবেন।
 
গত ৩১ জুলাই ‘হাইকোর্টের আদেশ সেই দুদক কর্মকর্তার বদলির আদেশ স্থগিত’ শিরোনামে চট্টগ্রামের দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এছাড়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এ সংবাদ প্রকাশিত হয়।
 
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাজহরুল হকের দেওয়া এক ল’ইয়ার সার্টিফিকেট থেকে উদ্ধৃত করে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনের বদলির আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আগামী দুই সপ্তাহের জন্য তাকে সপদে বহাল রাখার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
 
তবে বিষয়টি নজরে আসার পর আদালত বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনের বদলির ওপর কোনো স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি।
 
হাইকোর্টের আদেশ না হওয়া সত্ত্বেও বদলিতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে—এমন খবর চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন উচ্চ আদালত। এ বিষয়ে সংশোধনী প্রকাশ এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য দুদকের আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
 
পরে দৈনিক পূর্বকোণ সংশোধনী দেয়। বিষয়টি আদালতকে জানানোর পর আদালত রিটকারীকে তলব করেন। রিট আবেদনটি করেছিলেন শহিদুল ইসলাম লিটন নামের এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার তিনিও ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো.খুরশীদ আলম খান। রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আশানুর রহমান।
দুদক আইনজীবী বলেন, কমিশন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। ওই কর্মকর্তার বিষয়ে গত ১০ আগস্ট তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০২৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২১
ইএস/জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।