ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

৭ মার্চের ভাষণ পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১
৭ মার্চের ভাষণ পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ

ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। কোন স্তরে অন্তর্ভুক্ত হবে সে বিষয় নির্ধারণ করতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি করতে বলা হয়েছে।

বুধবার (সেপ্টেম্বর ০৮) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রায়ে এ নির্দেশা দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন  অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী বশির আহমেদ।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার জানান, এখন এটা কোন পর্যায়ে হবে, কোন ক্যাটাগরিতে হবে সেটা একটা এক্সপার্ট কমিটি নির্ধারণ করে দেবে। কমিটিতে কারা থাকবেন সেটা রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে দাখিল করবে। এরপর আদালত কমিটি চূড়ান্ত করে দেবেন। আর এই কমিটি নির্ধারণ করে দেবে কোন পর্যায়ে বা কোন স্তরে ভাষণটি অন্তর্ভুক্ত করা হবে। স্কুল-কলেজ না আরও উপরে—এটা কমিটি নির্ধারণ করে দেবে।

২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক বশির আহমেদ এ রিট দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ৭ মার্চকে কেন ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।

এছাড়াও একাত্তরের ৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্থানে, যে মঞ্চে ভাষণ দিয়েছিলেন, পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ, মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র সমর্পণ এবং ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্ধিরা গান্ধীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল যে স্থানে সেই স্থানে মঞ্চ পুননির্মাণ কেন করা হবে না।

৭ মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণের সময় বঙ্গবন্ধুর ‘স্পিচ মোড’ (তর্জনি উচিয়ে ভাষণের সময়কার ভঙ্গি) এর ভাস্কর্য নির্মাণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না—তাও জানতে চাওয়া হয় রুলে।

সেই রুলের শুনানিতে রিট আবেদনকারীর সম্পূরক আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৫ ফেব্রুয়ারি মুজিববর্ষের মধ্যেই দেশের সব জেলা-উপজেলায় হেড কোয়ার্টার্সে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনের নির্দেশসহ কয়েকটি নির্দেশনা দেন। এর মধ্যে ৭ মার্চকে দিবস ঘোষণার বিষয়টি গেজেটে প্রকাশ করা হয়।

এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস ঘোষণা করতে নির্দেশ দেন আদালত।

এর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করতে সম্পূরক আবেদনে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। বুধবার এসব রুলের নিষ্পত্তি করেছেন হাইকোর্ট।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।