ঢাকা: পুলিশের ইন্সপেক্টর মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় আদালতের নির্দেশে আত্মসমর্পণ করেছেন আসামি ফারিয়া বিনতে মিম ওরফে মাইশা।
রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) আপিল বিভাগে এ তথ্য জানান তার আইনজীবী শেখ মুশফিক উদ্দিন বখতিয়ার।
এরপর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানির জন্য ২৬ সেপ্টেম্বর দিন রেখেছেন।
২০১৮ সালের ৮ জুলাই রাত ৮টায় বনানীর একটি ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি অ্যাপার্টমেন্টে ভিকটিম মামুন ইমরান খানকে ডেকে এনে মারধর করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ১০ জুলাই গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানাধীন উলখোলার বাইরদিয়া রাস্তার পাশের বাঁশের ঝোপের মধ্যে মামুন ইমরান খানের মরদেহ পাওয়া যায়।
ওই ঘটনায় ১০ জুলাই নিহতের ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় মামলা করেন।
একই বছরের ১৮ জুলাই দিনগত রাতে রাজধানীর বাড্ডা ও হাজারীবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেফতার করে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এর আগে রহমত উল্লাহ নামে আরও এক আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জড়িতদের গ্রেফতারের পর সংবাদ সম্মেলনে তৎকালীন ডিবির যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, মামুন ইমরান খান টেলিভিশনের বিভিন্ন ক্রাইম সিরিয়ালেও অভিনয় করতেন। গত ৮ জুলাই রহমত উল্লাহকে তার বাসায় জন্মদিনের দাওয়াত দেন এক আসামি।
রহমত উল্লাহ ওই অনুষ্ঠানে পুলিশ বন্ধু মামুনকেও যাওয়ার অনুরোধ করেন। আর সেই জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়েই খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা মামুন।
এরপর তার মরদেহ গুম করতে বস্তায় ভরে রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কালীগঞ্জের জঙ্গলে পেট্রোল দিয়ে মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়।
১০ জুলাই বাসায় ফেরার সঙ্গে সঙ্গে রহমত উল্লাহকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী বুধবার তিন নারীসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
মামুন ইমরান খানের গ্রামের বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জ থানার কলাকুপা এলাকায়। তিনি ২০০৫ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন।
এ মামলায় ফারিয়া বিনতে মীমকে গত বছরের ১১ অক্টোবর জামিন দেন হাইকোর্ট। এরপর কারাগার থেকে মুক্তি পান ফারিয়া। এ জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। পরে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত তার জামিন স্থগিত করেন। এ অবস্থায় ২৬ আগস্ট তিনি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
পরে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে ওঠে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯,২০২১
ইএস/এসআই