ঢাকা: খুন ও অপহরণের পৃথক মামলার দণ্ড মাথায় নিয়ে ২৬ বছর আগে কারাবন্দি হয়েছিলেন নেত্রকোনার বারহাট্টার সোবহান। সেই থেকে জামিন মেলেনি আর।
তার জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ কামরুল হাসান কিরণ।
পরে বিশ্বজিৎ দেবনাথ জানান, খুনের মামলায় সোবহান যাবজ্জীবন সাজার (৩০ বছর) রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন ৫ হাজার ৮৩১ দিন বিলম্বে। এখন বিলম্ব মার্জনার দরখাস্ত মঞ্জুরের পর লিভ টু আপিলের ওপর শুনানি হবে। যদি আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেন তাহলে বাকি সাজা তাকে ভোগ করতে হবে।
আইনজীবীরা জানান, নেত্রকোনার বারহাট্টার থানার এক অপহরণের মামলায় ১৯৯৭ সালে সোবহানকে ১৪ বছরের দণ্ড দেন জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত। ওই মামলায় ইতোমধ্যে তিনি সাজা ভোগ শেষ করেছেন।
এদিকে তাজু মিয়া ওরফে ভোলাকে খুনের মামলায় একই সোবহানকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়। ওই যাবজ্জীবন সাজার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন সোবহান। যেটি ২০০৫ সালে খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। এই রায়ের বিরুদ্ধে প্রায় ৫ হাজার ৮৩১ দিন বিলম্বে লিভ টু আপিল করেন সোবহান। একইসঙ্গে জামিনও চান। জামিন শুনানিতে নেত্রকোনা জেলা কারা কর্তৃপক্ষ এই বন্দির বিষয়ে একটি চিঠি পাঠায়।
সেখানে বলা হয়, ১৯৯৫ সালের ৩০ জানুয়ারি থেকে সোবহান কারাগারে রয়েছেন। এর মধ্যে তার অর্জিত রেয়াত পেয়েছেন ৭ বছর ৭ মাস ২৭ দিন। পুরো কারাভোগ শেষে তার মুক্তির মেয়াদ হতে পারে ২০৩১ সালের জুন মাসে। এরপর শুনানি শেষে আপিল বিভাগ তার জামিন মঞ্জুর করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১
ইএস/এনটি