ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ, জনতা ব্যাংক কর্মকর্তার জামিন না-মঞ্জুর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২১
৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ, জনতা ব্যাংক কর্মকর্তার জামিন না-মঞ্জুর

খুলনা: খুলনায় পাট কেনার নামে প্রায় ৮ কোটি (৭ কোটি ৯৭ লাখ) টাকা আত্মসাতের মামলায় জনতা ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. আব্দুল্লাহ ফেরদৌসের জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করেছেন আদালত। তিনি ব্যাংকের ঢাকা প্রধান কার্যালয়ে নীরিক্ষা বিভাগে (পরিদর্শন) কর্মরত ছিলেন।

বর্তমানে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে খুলনা মহানগর বিশেষ জজ আদালতে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করলে বিচারক শহিদুল ইসলাম শুনানি শেষে আবেদন না-মঞ্জুর করেন। প্রায় দুই যুগ আগের মামলায় আব্দুল্লাহ ফেরদৌস গত ৯ ডিসেম্বর ঢাকায় গ্রেপ্তার হন। দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী অ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বাকি আসামিরা হচ্ছেন- মেসার্স ট্রান্স ওশান ফাইবার প্রসেসর (বিডি.) লি. শিরোমনি, খুলনার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মামুন বক্স, সাবেক নির্বাহী পরিচালক শাহজাহান, জনতা ব্যাংক ঢাকা ও খুলনার দুই সিনিয়র অফিসার এসএম খোরশেদুল আলম এবং মো. মজিদ সিদ্দিকী।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজসে ১৯৯১-৯২ অর্থবছর থেকে ৯২-৯৩ অর্থবছরে জনতা ব্যাংক, খুলনা করপোরেট শাখা থেকে পাট কেনার নামে ৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় দুদক কর্মকর্তা আবু মো. আরিফ সিদ্দিকী বাদী হয়ে খানজাহান আলী থানায় মামলা করেন (মামলা নং (তাং ১৩/১০/৯৬))।

দীর্ঘ তদন্তে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বদল হয়েছেন ৯ জন। সর্বশেষ ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি দুদকের সহকারি পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ আদালতে অভিযোগপত্র দেন। বাকি আসামিরা জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪ , ২০২১
এমআরএম/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।