ঢাকা: প্রায় চার বছর আগে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে মীরেরবাগ বালুচর ওরিয়েন্টাল স্কুলের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সোহাগকে অপহরণের পর খুনের মামলায় ইয়াসিন মাহমুদ শাহীনকে (২৮) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইসমত জাহান এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি শাহীনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় তাকে আরও সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় শাহীন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে সোহাগের পরিবার। তার বাবা ইদ্রীস খান বলেন, ‘রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আশা করবো, উচ্চ আদালতে এ রায় বহাল থাকবে। আসামির দ্রুত ফাঁসি কার্যকর হবে। ’
২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সোহাগ স্কুল থেকে এসে তার মা সুফি বেগমের মোবাইল নিয়ে গেমস খেলতে খেলতে বাসার বাইরে যায়। এ সময় কৌশলে শাহীন ভিকটিম সোহাগকে অপরহরণ করে নিয়ে যান। পরে সোহাগের পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এক ঘণ্টার মধ্যে টাকা না দিলে সোহাগকে মেরে ফেলার হুমকি দেন শাহীন।
সোহাগের পরিবার বিষয়টি র্যাবকে জানায়। র্যাব বিষয়টি থানাকে জানাতে বলে। এরই মাঝে আরও ২/৩ বার টাকা চেয়ে ফোন দেন শাহীন। পরে থানা পুলিশ মোবাইল টেকনোলজির সহায়তায় তাকে মীরেরবাগ বালুর মাঠ থেকে গ্রেফতার করে। তার স্বীকারোক্তিমতে, বাসা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সোহাগের হাত, নাক, মুখ, স্কচটেপ দিয়ে বাঁধা সোহাগকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ওই দিনই দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন সোহাগের বাবা। মামলাটি তদন্ত করে শাহীন এবং তার বন্ধু সাজ্জাদ আহমেদ নিশাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক আশরাফুল আলম।
এরপর সাজ্জাদকে অব্যাহতি দিয়ে শাহীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। বিচার চলাকালে আদালত ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২২
কেআই/এমজেএফ