ভোরে উঠে নাস্তা বানানো, দুপুরের খাবার তৈরি করা, তারপর চটজলদি রেডি হয়ে দুজন দুদিকে অফিসের পথে। ফিরতে ফিরতে সেই সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত।
ছোট ছোট কথা রীতিমত ঝগড়ায় গিয়ে শেষ হয়, প্রায় নিয়মিতই হচ্ছে এমন। অনেক প্রিয় সংসারের এই হাল হবে...এটা কখনো ভাবেনি ওরা। মাঝে মাঝে দুজনেরই মনে হয় সব ছেড়ে চলে যেতে। তারপরও কী এক টানে আর যাওয়া হয় না।
মাঝে মাঝে দুজনই ভাবে এই সম্পর্ক হয়তো শুধু শুধুই টিকে আছে, বৃষ্টি বা সজল আর একজন আরেকজনকে ভালোবাসে না।
এমন অবস্থায় কি হয়, আসলেই প্রিয় মানুষটির প্রতি আর কোনো ভালোবাসা অবশিষ্ট থাকে না? সজলের বাড়ি ফিরতে দেরি করা অথবা বৃষ্টির অকারণ রাগের আড়ালে কি আদৌ লুকিয়ে আছে ভালবাসার কিরণ? আসুন জানতে চেষ্টা করি:
রাত দিন পরিশ্রম করে একটি প্রোজেক্ট দাঁড় করানোর পর অফিসের বস যখন তার খুব প্রশংসা করলেন, আনন্দে বসের রুম থেকে বেরিয়েই সকালে ঝগড়া করে যার সঙ্গে থাকবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রথম ফোনটা সেই তাকেই দিলেন? খেয়াল করে দেখুন, উত্তরটা যদি হ্যাঁ হয়, তবে জেনে রাখুন ভালোবাসা আছে।
অনেক কাজের চাপে যখন একটু সময় পাওয়া যায় তখন কার সাথে ঘুরতে যাওয়ার প্লান করতে সবচেয়ে ভালো লাগে, সেই সজলের সাথেই? তো এই ভালোলাগার অনুভূতি ভালোবাসা ছাড়া আবার কী!
একসঙ্গে অনেকগুলো বছর কাটানোর পরেও তার মুখের হাসি, আপনাকে দোলা দেয়? নিশ্চিন্ত থাকুন, প্রেম এখনও আপনাদের ছেড়ে যায়নি।
কোনো কারণে একজন না থাকলে কি আপনি নিজের নির্ধারিত জায়গায় শুয়ে, মিস করেন ওকে? উত্তর হ্যাঁ হলে আর ভাবনা নেই। ভালবাসার মানুষকেই তো আমরা এতটা প্রাধান্য দেই।
বেশ কয়েকবার ফোন করার পরও যদি অন্যজন ফোন রিসিভ না করে তবে কি আপনি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন? ভালোবাসা যাচাইয়ের মাপকাঠি আসলে এগুলোই।
প্রতিটি সম্পর্কেই মাঝে মধ্যে টানাপোড়েন দেখা যায়। ছোট ছোট খুনশুটি যেন বড় আকারে না যায়, সে বিষয়গুলো দুজনকেই মাথায় রাখতে হবে। পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ, নিজের সিদ্ধান্তই সব সময় সঠিক, অন্যজন কিছুই বোঝেনা, এধরনের মানসিকতা থেকে বেড়িয়ে এসে ভালোবাসায় ভরে তুলুন...ভালোবাসার ছোট্ট ভুবন।
মডেল: ত্বাহা ও সানজু
ছবি: নূর