আমাদের শোবিজে বহুল আলোচিত দুই নাম। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও নুসরাত ইমরোজ তিশা।
একজন নির্মাতা, অন্যজন অভিনেত্রী। ফারুকী ও তিশার তিন বছরের প্রেম মিডিয়ায় ছিল ওপেন সিক্রেট। অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন তারা। বিয়েটা হচ্ছে পারিবারিক মধ্যস্থতায়। ১৬ জুলাই সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে অনুষ্ঠিত হবে বিয়ের অনুষ্ঠান। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রায় ৫০০ অতিথিকে। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমকে নিজের অনুভূতির কথা জানিয়ে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বললেন, আমি এ মুহূর্তে খানিকটা মর্মাহত। কারণ দেশজুড়ে ছড়িয়ে আছেন আমার ও তিশার শুভানুধ্যায়ী। তাদের সবাইকে আমাদের বিয়েতে দাওয়াত দিতে পারছি না। যদি সুযোগ থাকতো স্টেডিয়াম ভাড়া করে বিয়ের অনুষ্ঠান করা, আমরা তাই করতাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের। বিয়ের জন্য স্টেডিয়াম ভাড়া দেয়া হয় না। তাই যাদের আমন্ত্রণ জানাতে পারিনি তাদের কাছে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া এ মুহূর্তে আমার করার কিছু নেই।
বিয়ের পর নতুন দম্পতির হানিমুনে যাওয়ার রেওয়াজ আছে সারা বিশ্বে। কিন্তু ফারকী ও তিশার হানিমুনে যাওয়া হচ্ছে না। বিয়ের পর শুটিংয়ের শিডিউল থাকায় হবু তারকা-দম্পতি ‘নো হানিমুন’ ঘোষণা করেছেন।
এ প্রসঙ্গে তিশা বললেন, কাজটাকেই আমরা দুজন গুরুত্ব দিই বেশি। আগে কাজ তারপর অন্যকিছু। বিয়ের ঠিক দুদিন পর শিডিউল দেয়া থাকায় হানিমুনে যাওয়া হচ্ছে না। তাছাড়া হানিমুনে যাওয়ার খুব একটা প্রয়োজন দেখছি না। আমরা দুজন দুজনকে বেশ ভালো করেই চিনি, জানি এবং বুঝতে পারি। যাদের বিয়ে পুরোপুরি পারিবারিকভাবে হয় তাদের জন্য হানিমুনটা খুব জরুরি। কারণ সেখানে একে-অন্যকে চেনা, জানা ও বোঝার ব্যাপারটা থাকে । আমাদের সেটার প্রয়োজন পড়ছে না।
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।