মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও নুসরাত ইমরোজ তিশা। একজন নির্মাতা, অন্যজন অভিনেত্রী।
বর-কনে বসে আছে একই মঞ্চে আর উভয় পক্ষের কাছের মানুষরা দুজনের গায়ে ছুঁয়ে দিচ্ছেন হলুদ। বর-কনে যৌথ গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান খুব কমই আয়োজন হয় আমাদের দেশে। ফারুকী ও তিশার যৌথ গায়ে হলুদ অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৫ জুলাই সন্ধ্যায় গুলশানের ক্যাটরিন আইসল্যান্ড রেস্তোরাঁয়। গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন টিভি, চলচ্চিত্র ও সঙ্গীতাঙ্গনের তারকারা এবং দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনেরা।
১৬ জুলাই সকালে তিশাদের পরিবারের পরীবাগের বাসভবনে হয়ে গেছে ফারুকী-তিশার আকদ। মগবাজারের কাজী সাহেব বিয়ে পড়ান। দেনমোহর ছিল ৩ লাখ ১ হাজার ১০১ টাকা, যা তাৎক্ষণিকভাবে কনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আকদে উপস্থিত ছিলেন দুই পরিবারের অভিভাবকরা।
সন্ধ্যায় হোটেল ওয়েস্টিনে অনুষ্ঠিত তাদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উল্লেখযোগ্য তারকা। ফুল-লতা দিয়ে পরিপাটি করে সাজানো বলরুমে ফারুকী ও তিশা আসেন রাত ৮টায়। তিশার পরনে ছিল লাইট গোল্ডেন কালারের শাড়ি। গলায় নেকলেস, কানে ঝুমকা, কপালে টিকলি আর হাতে বালা ও ব্রেসলেট পরিহিত তিশাকে হালকা মেকআপে দারুণ লাগছিল। ফারুকীর পরনে ছিল বোটল গ্রিন কালারের প্রিন্স কোট, মাথায় ছিল অফহোয়াইট পাগড়ি। বলরুমের মঞ্চে অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে ছিল ছবিয়াল পরিবারের সদস্যরা।
হাস্যরসিকতার মধ্য দিয়ে তারা বিয়েতে আসা আমন্ত্রিত সুধীজনদের মঞ্চে ডাকেন ফারুকী-তিশার উদ্দেশ্যে কিছু বলার জন্য। অনুষ্ঠানে আসা বরেণ্য ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, আমাদের সময় সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, কবি বেলাল চৌধুরী, কবি নির্মলেন্দু গুণ, নাট্যব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ, সাহিত্যিক-সাংবাদিক আনিসুল হক, ফ্যাশন ডিজাইনার এমদাদ হক, বিউটিশিয়ান কানিজ আলমাস, ড. আসিফ নজরুলসহ আরো অনেকে। পারফর্মিং মিডিয়ার তারকা শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন দিলারা জামান, মাসুদ আলী খান, তৌকীর আহমেদ, বিপাশা হায়াত, আফসানা মিমি, শারমীন লাকী, ফাহমিদা নবী, মোশাররফ করিম, তাহসান, মিথিলা, জেনী ও আরো অনেকে। গান গেয়ে শোনান ন্যান্সী ও হাবীব।
অনুষ্ঠান চলেছে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২৩৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১০