কুমার বিশ্বজিৎকে বলা হয় বাংলাদেশের চিরসবুজ গায়ক। সেই আশির দশকের শুরু থেকে তিনি ধরে রেখেছেন জনপ্রিয়তা।
সহকর্মী-শিল্পী-শুভানুধ্যায়ী ও অগুণতি ভক্তের প্রাণবন্ত উপস্থিতিতে বিশাল আকৃতির কেক কাটার মাধ্যমে শুরু হয় কুমার বিশ্বজিতের জন্মদিনের জমজমাট অনুষ্ঠান। কেক কাটার আগে তিনি পপগুরু আজম খানের রোগমুক্তির জন্য প্রার্থনা করতে সবাইকে অনুরোধ জানান। সহকর্মী শিল্পীদের পক্ষ থেকে কুমার বিশ্বজিৎকে ফুল দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী তপন চৌধুরী ও সামিনা চৌধুরী । এ সময় মিউজিক ক্যাফে কাঁপিয়ে সবাই গেয়ে উঠে, হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ।
জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এতো মানুষের উপস্থিতি দেখে অভিভূত হন কুমার বিশ্বজিৎ। আবেগ আপ্লুত কণ্ঠে নিজের অনুভূতির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে ঢাকঢোল পিটিয়ে জন্মদিন পালন করার পক্ষপাতী না। আমার ভালোবাসা থেকেই মেলোডি এন্টারটেইনমেন্টের ওমর মির্জা এই আয়োজন করেছে, তাই আমি না করতে পারি নি। আমাকে শুভেচ্ছা জানাতে এতো মানুষ যে একত্রিত হবে, তা ছিল আমার ধারণার বাইরে। আমি নিজেকে আজ সৌভাগ্যবান মনে করছি। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সবার কাছে।
কুমার বিশ্বজিতের বয়সের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি খাতা-কলমের বয়স নিয়ে ভাবতে রাজি নই। আমি আসলে মনের বয়সে বিশ্বাসী। কাগজ-কলম-সন-তারিখ ধরে বয়স গণনা- এই বয়স আমি মানি না। একটা মানুষকে বয়স দিয়ে বিবেচনা করা অন্যায়। দেখা উচিত তার কর্মক্ষমতা এবং মানসিক জোর। মনের বয়সটা ধরে রাখাই অনেক জরুরি। মানসিকভাব আমি নিজেকে এখনও তরুণ বলে মনে করি। তারুণ্যেও জয়গান গাই আমি সবসময়।
জন্মদিনের অনুষ্ঠানে কুমার বিশ্বজিৎ ঘোষণা দেন, শিগগির তিনি শ্রোতাদের উপহার দিতে চলেছেন তার গাওয়া চারধারার গান নিয়ে চারটি রিমেক অ্যালবাম।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ইজাজ খান স্বপন, মৌটুসী, আঁখি আলমগীর, লিটন অধিকারী রিন্টু, ফরিদ আহমেদ, মুকিত, কবির বকুল, প্রিন্স মাহমুদ, ইবরার টিপু, কনা, সাব্বির, কিশোর, আবিদ, পুলক, বিউটি দাশ, রন্টি দাশ, শফিক তুহিন, কোনাল, আন্বিক, জোবায়ের, মিথিলা, স্মরণ, ইমরান প্রমুখ।
আগেই কুমার বিশ্বজিৎ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তিনি কোন গান গাইবেন না, অন্যদের গান শুনবেন। অনুষ্ঠানে কুমার বিশ্বজিতের গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলোই পরিবেশন করেন উপস্থিত শিল্পীরা।
বাংলাদেশ সময় ০০৩৫, জুন ০২, ২০১১