সোহান আর তনয় ভালোবেসে বিয়ে করেছে কয়েক মাস হলো। তাদের দুজনের ছোট সংসার।
সোহান বাসায় ফিরে টিভিতে সংবাদ দেখে আর তনয় ঘর গোছায়, সোহানের প্রিয় খাবার রান্না করে। এর ফাঁকেই আবার সোহানকে কফি করে দেয়। দুজন বসে গল্প করার খুব বেশি সময় তারা পায় না। তনয় সংসারের কাজেই ব্যস্ত থাকে। মাঝে মধ্যে হাপিয়ে ওঠে, তবে মুখে কিছু বলে না।
এই গল্প শুধু সোহান-তনয় দম্পত্তির নয়। বরং কর্মজীবী বেশির ভাগ স্বামী-স্ত্রীর জীবন এভাবেই কাটে।
এই অবস্থার পরিবর্তন করা কিন্তু খুব বেশি কঠিন নয়। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সুন্দর সুখের নীড় গড়ে তোলা সম্ভব। কেমন করে?
- স্বামীকে স্ত্রীর প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে
- দুজনই বাইরে ব্যস্ত থাকেন, বাসায় ফিরে সব কাজ একজনের ওপর চাপিয়ে না দিয়ে, নিজেও একটু সাহায্য করুন
- আপনি সংসারের কাজে সাহায্য করলে দুজনের সম্পর্ক আরও সুন্দর হয়ে উঠবে।
- যদি স্বামী বিষয়টি না বোঝেন, স্ত্রীর ওপর যে বেশি কাজের চাপ পড়ে, তবে রাগারাগি না করে তাকে ঠান্ডা মাথায় বুঝিয়ে বলুন।
- কাজের পরিকল্পনা করুন। এতে সব কাজ সময়মতো হয়ে যাবে, পাশাপাশি কোনো কাজ বাদ পড়ার আশঙ্কা থাকবে না।
- খাওয়ার পর থালা ধুয়ে নেওয়া, ঘর গোছানো, জামাকাপড় গোছানোর মতো ছোট কাজ গুলোতে যদি স্বামী সাহায্য করেন, তবে স্ত্রী কিন্তু একটু বিশ্রাম নেওয়ার সময় পান।
- স্বামীর চশমা, ওয়ালেট, ঘড়ি, মোবাইল, ল্যাপটপ, সব সময় এক জায়গায় রাখতে বলুন। এতে অফিসে যাওয়ার সময় খুঁজতে গিয়ে সময় নষ্ট হবে না।
- একসঙ্গে দুটি কাজ করা যায় এমন কাজগুলো একবারে সেরে ফেলুন। যেমন টিভি দেখতে দেখতে সবজি কেটে নিন।
- বাসায় ফেরার সময় প্রয়োজনীয় বাজার করে আনুন।
কাজ সহজ করে নিন, আধুনিক প্রযুক্তি আমাদের জীবন অনেক সহজ করে দিয়েছে। দৈনন্দিন কাজে ইলেকট্রিক টোস্টার, রাইস কুকার, মাইক্রোওয়েভ ওভেন এবং ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করুন।
দুজন মিলে আনন্দ নিয়ে সংসার সামলান। দেখুন, ছোট্ট ঘরটিই সুখের স্বর্গে পরিণত হবে।