বিয়ে, আলাদা দুটি জীবনের নতুন পথ চলার শুরু। এই পথ মসৃণ করার জন্য দুজনকেই এগিয়ে আসতে হবে।
বিয়ের মাধ্যমে নতুন সম্পর্কের তৈরি হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পারির্পাশ্বিক পরিবেশ থাকে অচেনা। অনেক অপরিচিত অভ্যাস আয়ত্বে আনতে হয়। আর বৌটিকে তো মানিয়ে নিতে হয় সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিবেশের সঙ্গে। একে তো নতুন জায়গা, তারপর তার প্রতি সবার প্রত্যাশা মেটাতে অনেক সময় হিমশিম খেতে হয়। এখানে স্বামী যদি তার স্ত্রীর প্রতি আন্তরিক ও সহানুভূতিশীল হয় তাহলে স্ত্রীর জন্য সবার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সুবিধা হবে। একই সাথে দুজনের মধ্যে চমৎকারভাবে সম্পর্কের শুরু হবে।
- নতুন সম্পর্ক সুখময় করতে প্রথমে একে অপরকে ভালোভাবে জানতে হবে।
- এই সম্পর্ক শুরুর মাধ্যমে জীবনে কিছু পরিবর্তন আসবে, এগুলো ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেখতে হবে।
- অনেক সময় দুই পরিবারের খাবার দুই ধরনের হয়। এক্ষেত্রে বৌটির সমস্যা হতে পারে। স্বামীকে বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে।
- আমাদের সবার সব আচরন, ভালো লাগবে এমন কথা নেই। তবে কোনো বিষয় অপছন্দ হলেও ঠাণ্ডা মাথায় আলোচনা করা উচিৎ
- নিজেদের বিষয়ে অন্যকে নাক গলাতে দেবেন না। এতে সমস্যা না কমে বরং বেড়ে যাবে
- যেটুকু সময় দুইজন থাকবেন অহেতুক বিষয় টেনে এনে অশান্তি তৈরি করবেন না।
- স্বামী বা স্ত্রীর অতীত স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত টানাহেচরা করা একদমই ঠিক কাজ নয়
- একজন অন্যের পছন্দ সম্পর্কে জানুন। প্রিয়জনকে মাঝে মাঝে তার পছন্দের জিনিস উপহার দিন।
- প্রতিদিন ঘরের রান্না না খেয়ে দুজন মিলে বেড়িয়ে পড়ুন। কিছুক্ষণ ঘুরে পছন্দের দোকানে খেয়ে নিন
- স্ত্রীর বোঝা উচিৎ তার স্বামীর আয় কতটুকু। তার চাহিদা সে অনুযায়ী হতে হবে।
- স্বামীকে খোঁচা দিয়ে কখনোই বাবার সামর্থের সঙ্গে তুলনা করা যাবে না। এতে সংসারের সুখ পালাতে বাধ্য।
- মনে রাখতে হবে স্বামীর ক্যারিয়ারের মাত্র শুরু, তাকে সময় দিলে সেও সুপ্রতিষ্ঠিত হবে
- স্ত্রী যদি আপনার পছন্দের কোনো খাবার রান্না করে , সেই রান্না যেমনই হোক প্রশংসা করুন।
মনে রাখবেন, আপোস এবং ক্ষমা এই দুটি বিষয় যদি আমরা সংসার জীবনে চর্চা করতে পারি তবে, নতুন ছোট সংসারটিকে সুখের স্বর্গে পরিণত করতে পারবো।