কদিন আগেই ব্রিটিশ রাজ-পরিবার থেকে বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন হলিউড তারকা ক্যাথরিন জেটা জোন্স। বয়স গত বছর চল্লিশ ছাড়ালেও এখনো তারুণ্য-ঝলমল এই সুন্দরী অভিনেত্রী।
ক্যাথরিন জেটা জোন্সকে ২০০৮-এর শেষ দিকে মুক্তি পাওয়া ডেথ ডিফাইং অ্যাক্ট ছবির পর আর অভিনয়ে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে কি তিনি ফিল্মকে বিদায় জানিয়েছেন? না, বিষয়টি সেরকম নয়। আসলে পছন্দমতো চরিত্র না পাওয়াই ২০০৩-এর অস্কার বিজয়ী এই অভিনেত্রীকে ফিল্ম থেকে দূরে রেখেছে। স্বামী হলিউডের বর্ষিয়ান তারকা মাইকেল ডগলাস এক্ষেত্রে তাকে প্রভাবিত করেছেন বলে অনেকের ধারণা। চলতি বছর জিওন হোপারের মতো আলোচিত নির্মাতার ছবিতে কাজ করার প্রস্তাবটিও ক্যাথরিন ফিরিয়ে দিয়েছেন চরিত্রটি গুরুত্বপূর্ণ নয় বলে। অথচ এর চেয়েও হালকা চরিত্রে তাকে একাধিকবার অভিনয় করতে দেখা গেছে।
ওয়েলসে জন্মগ্রহণকারী ব্রিটিশ অভিনেত্রী ক্যাথরিন জেটা জোন্সের উত্থানটা বিস্ময়কর। জন্ম ১৯৬৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর। নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত তিনি ছিলেন নিতান্তই সাধারণ। বাবা ডে জোন্স চাকরি করতেন ওয়েস্ট গ্র্যামারগনের একটা ক্যান্ডি ফ্যাক্টরিতে। মা পেট জোন্স ছিলেন অসুস্থ। দুই ভাই এক বোনের অভাবি পরিবারের প্রয়োজন মেটাতে ক্যাথরিন স্টেজে নাচগানের শো করে বেড়াতেন। স্মিথ বার্নাট নামের এক প্রযোজক তাকে সুযোগ করে দেন টিভি কমেডি শোতে অভিনয়ের। জেটা জোন্স বাজিমাতটা করলেন সেখানেই। ১৯৯৮ সালে দ্য মাস্ক অব হিরো ছবির নায়িকা হয়ে তিনি হলিউডে পা রাখেন। অ্যাকশন ছবি ইনট্র্যাপমেন্ট আর কমেডি ছবি আমেরিকান সুইটহার্ট তাকে তারকা খ্যাতি এনে দেয়। ২০০০-সালে ট্র্যাফিক ছবিতে কাজ করার সময় হলিউডি অভিনেতা মাইকেল ডগলাসের সঙ্গে তার মন দেয়া-নেয়া শুরু। তিন বছর পর ডগলাসের সন্তান গর্ভে আসার পর ক্যাথরিন ঘোষণা করেন যে তারা বিয়ে করেছেন। ২০০৩ সালে শিকাগো ছবিতে দুর্দান্ত পারফরমেন্সের জন্য জেটা জোন্স অস্কার পান সেরা অভিনেত্রী হিসেবে। ক্যামেরার সামনে বরাবরই রক্ষণশীল অভিনেত্রী ক্যাথরিন জেটা জোন্স অভিনীত ছবির মধ্যে আমেরিকান সুইটহার্ট, শিকাগো, ইনটলারেবল ক্রুয়েলিটি, ওশার টুয়েলভ, দ্য লিজেন্ড অব হিরো, নো রিজার্ভেশন, আনরেপড ডেথ ডিফাইনিং অ্যাক্ট প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
সদাহাস্যময়ী ও সুন্দর চোখের এই তারকা এখনো অনেক তরুণের হৃদয়ে কাঁপন তোলেন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১০৫৯, ০১ জুলাই ২০১০