ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

টিভি কিউ : নির্বাচিত অনুষ্ঠান ১৮ আগস্ট বুধবার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১০

এটিএন বাংলা

রাত ৮টা ৪০ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক : ঘরজামাই (১০২ পর্ব) ॥ ড. মাহফুজুর রহমানের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করছেন চন্দা মাহজাবীন ॥ অভিনয় করেছেন আজিজুল হাকিম, রোমানা, লারা লোটাস, নাসিমা খান, ফখরুল হাসান বৈরাগী, শতাব্দী, দিহান, ড. ইনামুল হক, শহীদুল আলম সাচ্চু, মুম রহমান, দিলারা জামান, সমু চৌধুরী প্রমূখ। গল্প : একটি পরিবারের বিভিন্ন হাস্যরসাতœক ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাটকের কাহিনী আবর্তিত হয়েছে।

বাড়ীর গৃহকর্তী মাস্তুরা বিয়ে করে তার বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন তার স্বামী গোলামকে। একই ধারাবাহিকতায় মাস্তুরা আর গোলামের একমাত্র কন্যা আধুনিকা পিংকীও বিয়ে করে নিয়ে আসে তার স্বামী আবুলকে। এখান থেকেই গল্পের শুরু। বর্তমান সময়ে অনেক পরিবারে স্ত্রী যেমন স্বামীর অনেক কিছুই নীরবে সহ্য করেন, তেমনি এই পরিবারে স্বামীরা স্ত্রীদের অনেক অত্যাচার সহ্য করেন। বাড়ির মালকিন মাস্তুরা বেগম আর তার মেয়ে পিংকীর কাজের লোকজন ও তাদের ম্যাডামের দাপটে পুরো বাড়ী দাবড়িয়ে বেড়ান। এগিয়ে যায় গল্প ॥
 
রাত ৯টা ২০ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক : পৌষ ফাগুনের পালা (১৯ পর্ব) ॥ গজেন্দ্রকুমার মিত্রের ‘ত্রয়ী’ উপন্যাস কলকাতার কাছেই, উপকণ্ঠে ও পৌষ ফাগুনের পালা অবলম্বনে নির্মিত এই ধারাবাহিক নাটকটির নাট্যরূপ দিচ্ছেন ইরাজ আহমেদ ও মনসুর রহমান চঞ্চল। আফসানা মিমি’র পরিচালনায় এ নাটকে অভিনয় করেছেন ফেরদৌসী মজুমদার, হুমায়ূন ফরীদি, রাইসুল ইসলাম আসাদ, কেয়া চৌধুরী, আফরোজা বানু, ত্রপা মজুমদার, হাসান ইমাম, শর্মিলী আহমেদ, জ্যোৎস্না বিশ্বাস, মাসুদ আলী খান, ইন্তেখাব দিনার, সানজিদা প্রীতি, সোহানা সাবা, সাজু খাদেম, দিলীপ চক্রবর্তী, ইউসুফ রাসেল, জয়িতা মহলানবীশ, আইরিন সুলতানা, সোলায়মান খোকা, মায়া ঘোষ, শাখাওয়াৎ হোসেন রেজভী প্রমূখ ॥ গল্প : ১৯৬০-১৯৭০সালের প্রোপট। ঢাকা এবং ঢাকার উপকণ্ঠের গ্রাম। রাসমনির বিয়ে হয়েছিল তের বছর বয়সে আটান্ন বছর বয়সী জমিদারের সাথে। পারিবারিক ষড়যন্ত্রে জমিদারের মৃত্যু হলে বিধবা রাসমনি তিন মেয়ে কমলা, শ্যামা ও উমাকে নিয়ে চলে আসে ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায়। তিন মেয়েকে নিয়ে শুরু হয় রাসমনির জীবনযুদ্ধ ॥

চ্যানেল আই

বিকেল ৫টা ১৫ মিনিট ॥ গল্প নয় নাটক : সে এবং যা হয় না ॥ সৈয়দ শামসুল হকের গল্প অবলম্বনে নাটকটি পরিচালনা করেছেন জামাল রেজা ॥ অভিনয়ে লুৎফর রহমান জর্জ, মোমেনা চৌধুরী, আঁকা প্রমুখ ॥ গল্প : জর্জ একজন নাট্যকর্মী। নাটক দেখাতে গ্রামে গেলে সেখানে দেখা হয় তার প্রেমিকা মোমেনার সঙ্গে। তাকে আহবান করে নাটক দেখার জন্য। সে রাতে তাদের মধ্যে ঘটে কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনা। যা নিয়ে দুজনেই ভাবতে থাকে ॥

সন্ধ্যা ৬ টায় ॥ পবিত্র মাহে রমজান মাসের প্রতিদিন সরাসরি ইসলামিক অনুষ্ঠান : রমজানুল মোবারক ॥ ৩০ পর্বের এই অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করছেন এম কে জামান ॥ দর্শকদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানে থাকছে ইসলামিক আলোচনা, রমজানের তাৎপর্যপূর্ণ সব বিষয়ের প্রতি আলোকপাত ইত্যাদি ॥ এই অনুষ্ঠানের প্রধান চুম্বক আকর্ষণ হলো ‘কাফেলা’। সারা দুনিয়ার যত ইসলামিক নিদর্শন সমূহ আছে তা এই অংশে দেখানো হচ্ছে। এ পর্ব উপস্থাপনা করছেন মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকী ॥ এছাড়া এ অনুষ্ঠানে আরও থাকছে হামদ, নাত, সেহরী, ইফতারের সময়সূচি ও পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত ॥

রাত ৭টা ৫০ মিনিট ॥ কমেডি ধারাকাহিক : মুকিম ব্রাদার্স ॥ গল্প : মোস্তফা সরয়ার ফারুকী,  চিত্রনাট্য ও পরিচালনা : আশফাক নিপুন ॥ এতে অভিনয় করেছে নুসরাত ইমরোজ তিশা, ইশরাত জাহান চৈতী, জাহিদুল হক অপু, মুসাফির সৈয়দ, রাশেদা চৌধুরী, হাসান আজাদ, আল-আমিন সবুজ প্রমুখ ॥

রাত ৯টা ৩৫ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক : স্বপ্নবাজার ॥ রচনা : মাসুম রেজা, পরিচালনা : সালাউদ্দিন লাভলু ॥ অভিনয়ে চঞ্চল চৌধুরী, ছন্দা, তানজিকা আমিন, সাজু খাদেম, চাঁদনী, শানু, শামস সুমন, আহমেদ রুবেল, সৈয়দ হাসান ইমাম, ওয়াহিদা মল্লিক জলি প্রমুখ ॥

এনটিভি

রাত ৯টা ৪৫ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক : আষাঢ়ে গল্প ॥ রচনা করেছেন দেবাশীষ কাকন ও পরিচালনা করেছেন সাজ্জাদ সুমন ॥ অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম, ফারাহ রুমা, কুসুম সিকদার, নাফিজা, নোভা, শাহরিয়ার শুভ, আরমান পারভেজ মুরাদ, মাহমুদ সাজ্জাদ, খায়রুল আলম সবুজ, ড. ইনামূল হক, সুলতানা রেবু প্রমুখ ॥ গল্প : আনিস ভবঘুরে মানুষ। সে কখনও থিতু হয় না। জীবনে নানা অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলে। এক কথায় আনিস বাহুল্যবিহীন জীবন যাপন পছন্দ করে। সে কারও কাছে দায়বদ্ধ নয়। সে যখন যা ইচ্ছা তাই করে। আনিস প্রতিনিয়ত গল্প তৈরিকরে। সে গল্প থেকে আবার নিজেই বের হয়ে আসতে চায়। তখন সে জড়িয়ে পড়ে নতুন আরেক গল্পে। এভাবেই প্রতিনিয়ত সে নতুন নতুন গল্পের ফাঁদে পড়ে। আনিসের আটকে পড়া গল্পের ফাঁদগুলি যতই জটিল হোক না কেন বিষয়গুলি খুব মজার। গল্পের বিষয়গুলো ভিন্ন ভিন্ন হলেও একটি গল্পের থেকে তৈরি হয় আরেকটি গল্প ॥

বাংলাভিশন

রাত ৮টা ১৫ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক : হৈ হৈ রৈ রৈ ॥ শামীম সাগরের রচনা এবং অরণ্য আনোয়ার ও সাইদুর রহমান রাসেলের পরিচালনায় নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, আফরোজা বানু, মুনিরা মিঠু, সজল, শানারৈ দেবী শানু, জ্যোতিকা জ্যোতি, সাজু খাদেম, সঞ্জীব আহমেদ, শামীম প্রমুখ ॥ গল্প : সালমান সাহেবের বাসার সব কাজের লোকই পুরুষ। হঠাৎ একদিন তারা একসাথে বিদ্রোহ ঘোষণা করে বসে। কারণ তাদের নাকি অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। অধিকার আদায়ের ল্েয তারা নানান কৌশলের আশ্রয় নেয়া শুরু করল। ওদিকে সালমান সাহেবের স্ত্রী এবং ছেলে এ-বিদ্রোহ মেনে নিতে পারে না, তারাও নানান কৌশলে কাজের লোকদের বিদ্রোহ দমন করতে চায়। এভাবে মালিক ও শ্রমিক পরে মধ্যে কৌশল আর পাল্টা কৌশলের খেলা জমে ওঠে। আর এ খেলায় দুই পে একে একে যোগ দেয় সালমান সাহেবের অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে শুরু করে প্রতিবেশি টং দোকানদার পর্যন্ত ॥

রাত ৯টা ৪৫ মিনিট ॥ প্রতিদিনের ধারাবাহিক : গুলশান এভিনিউ ॥ নিমা রহমানের রচনা ও সতীর্থ রহমানের পর্ব-পরিচালনায় নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুজাতা, তারিক আনাম খান, দিতি, মৌ, অপূর্ব, আতাউর রহমান, মিতা নূর, বাঁধন, আলভী, টুটুল, লিনা আহমেদ, প্রিসিলা পারভীন, শশী, নিসা, মাহমুদ সাজ্জাদ, মারুফ প্রমুখ ॥ গল্প : আলী রেজা চৌধুরীর তিন পূত্র। শাহাদাৎ, শারাফাত ও শাফকাত। কিন্তু তিনজনের মধ্যে শুধু শাফকাত বাবার সঙ্গে থাকে। শাফকাতের স্ত্রী ইয়াসমিন। তাদের ৬ সন্তান। বড় ছেলে শামীম, মেঝো নাসিম ও ছোট ওয়াসিম। শামীমের স্ত্রী ফারজানা। কিন্তু ঘরে স্ত্রী থাকা স্বত্ত্বেও সে খুঁজে বেড়ায় অন্য কাউকে? নাসিমে স্ত্রী লাবনীর উঁচু বংশের অহমিকা সংসারে ঝড় আনে। ছোট ছেলে ওয়াসিমের সবেমাত্র বিয়ে হয়েছে, ধনী পরিবারের একমাত্র মেয়ে সামিয়ার সঙ্গে। কিন্তু সংসারে পা দিতেই তার নাম হয়ে যায় অলুণে। দাদী সহ্য করতে পারে না সামিয়াকে। এ বাড়ির মেয়ে ফারাহ ভালোবেসে বিয়ে করেছিল উঠতি গায়ক কবীরকে। কিন্তু এখন ফারাহ’র বাবা-মা চায় কবীরকে যেন ফারাহ ডিভোর্স দেয়। একসময় লন্ডন থেকে রেহানা নামের এক মেয়ে ঢাকায় এসে শাফকাতের কাছে দাবী করে পাঁচ কোঁটি টাকা। এরকম  নানা পারিবারিক দ্বন্ধ-সংঘাত, সুখ-দুঃখ, ভালোবাসা, ন্যায়-অন্যায়, উদারতা-নীচুতা এবং উত্থান-পতনের চালচিত্র উঠে এসেছে ‘গুলশান এভিনিউ’তে ॥

দেশ টিভি

রাত ৮টা ১৫ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক : শুভ্র ॥ হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে নওমী কামরুন বিধুর নাট্যরূপে মোশারফ খান বাদলের পরিচালনায় নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন  জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডলি জহুর, সালেক খান, এনামুল হক, মম, ইরেশ যাকের, অনি, লারা প্রমূখ । গল্প : কাহিনী এই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রের নাম শুভ্র। এই চরিত্রকে কেন্দ্র করেই গল্পের অন্যান্য চরিত্র এবং ঘটনাবলী আবর্তিত হয় । শুভ্র পড়া লেখায় অত্যন্ত মেধাবী। কিন্তু জাগতিক বিষয় সম্পর্কিত জ্ঞান তার একেবারেই নেই বললেই চলে। যেকোন সমস্যারই সে সমাধান করে তার পুর্বের আহরিত জ্ঞান দিয়ে। শুভ্রের বাবা মোতাহার সাহেব একজন ব্যবসায়ী এবং মা জাহানারা বেগম গৃহীনি । স্বামী , স্ত্রীর সম্পর্কের  একমাত্র সেতুবন্ধন হচ্ছে ছেলে শুভ্র । এই নরনারীর প্রেম , ভালবাসা, মায়া, রাগ, শাসণ একচ্ছত্রভাবে বর্ষিত হয়েছে শুভ্রের উপর । শুভ্র তার বাবা মায়ের ছত্রছায়ায় বড় হয়েছে অনেকটা পুতুলের মতন । ফলে তার দৃশ্যমান জগৎটা বলতে গেলে নিয়ন্ত্রন  করেছে তার মা । সেখানে শুভ্রর নিজস্ব কোন মতামত ব্যক্ত করার অধিকার বা সাহস কোনটাই ছিল না । কিন্তু এই দৃশ্যমান জগতের বাইরে তার অরেকটা জগৎ আছে । চশমাটা খুলে ফেললেই সে সেই জগতের বাসিন্দা। শুভ্রের চোখের অবস্থা খুব খারাপ । ছশমা ছাড়া সে কিছুই দেখতে পারে না। সেই জগতের সে একাই বাসিন্দা । তার সেই অন্ধকার ভুবনকে নিয়ন্ত্রন করে তার জ্ঞান, যুক্তি , আবেগ, আর নির্মমতম এক সত্য- আর তা হল এই পৃথিবীর রং, রূপ, আলো, বর্ণ, বৈচিত্র সে আর দেখতে পারবে না  । সে খুব  দ্রুত অন্ধ হয়ে যাবে । সেই অন্ধকার জগতের এক শুদ্ধতম মানুষ হচ্ছে শুভ্র।

রাত ৯টা ৪৫ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক : খোঁয়াড় ॥ রচনায় হাফিজ রেদু এবং পরিচালনায় বিক্রম খান। অভিনয়ে : আমিরুল হক চৌধুরী, আফরোজা বানু, চ্যালেঞ্জার, শিরিন আলম, চঞ্চল চৌধুরী, ফজলুর রহমান বাবু, আ,খ,ম হাসান, নাজনীন চুমকী, বিনয় ভদ্রসহ আরো অনেকে। গল্প : নাটকের কাহিনী গড়ে উঠেছে  বাকের আলকে নিয়ে। যার সাত পুরুষ ধরে গ্রামের খোঁয়াড়ের ইজারাদার। ধরন পেশাগত পদবীর মতই তার নামের শেষে স্থায়ীভাবে যুক্ত হয়েছে ‘খোয়াড়ী’ পদবী।   খোঁয়াড়-বন্দী নিত্য নতুন গাদা গাদা গরু ছাগলের চিৎকারে যেমন প্রতিবেশীদের ঘুম হারাম, তেমনি সেই আপদের ভয়ে আত্মীয় স্বজনরা এমনকি নিকট প্রতিবেশীরাও কোনোদিন মাড়ায় না বাকের খোঁয়াড়ীর বাড়ীর উঠান। নতুন করে আত্মীয়তার বন্ধন গড়তেও সাহস করে না কোন সজ্জন । বিপত্তি বাড়তে থাকে সেখানেই। বাকের খোঁয়াড়ীর তিন ছেলে নূরা খোঁয়াড়ী, নবা খোঁয়াড়ী ও নজু খোঁয়াড়ী বিয়ের যোগ্য হবার পরও কেউ কন্যা দানে রাজী হয় না, অনাচারী খোঁয়াড়ের কারণ। এজন্য স্ত্রী, সন্তানসহ আত্মীয়-স্বজন তাকে বারবার তাগাদা দেয় খোঁয়াড়ী পেশা ত্যাগ করার জন্য। কিন্তু বাকের খোঁয়াড়ীর এক কথা সে তার পূর্ব পূরুষের পেশা ছাড়তে নারাজ। তাতে বংশ রা না-হয় না হোক। এক সময় অধৈর্য হয়ে বাকেরের স্ত্রী নূরজাহান, ছেলেদের পছন্দের তিন মেয়ে বকুল, হেনা, বেলী আর নূরা, নবা, নজু একজোট হয়ে শুরু করে গোপন কৌশলে খোঁয়াড় উচ্ছেদের অভিযান। বাকের খোঁয়াড়ী ও তার স্বভাব চাতুর্যে খোঁয়াড় রার লড়াই চালিয়ে যায় প্রাণপণে। সবাই মিলে একের পর এক ঘটাতে থাকে উদ্ভট আর হাস্যকর নানান ঘটনা।

রাত ১০টা ৩০ মিনিট ॥ মেগা ধারাবাহিক নাটক : মেট্রো ॥ পান্থ শাহ্রিয়ারের রচনা ও ফাত্তাহ তানভীরের পরিচালনায় । ধারাবাহিকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেনÑ আসাদুজ্জামান নূর, রাইসুল ইসলাম আসাদ, মামুনুর রশীদ, সুবর্ণা মুস্তাফা, ওয়াহিদা মল্লিক জলি, শহিদুজ্জামান সেলিম, সোলাইমান খোকা, শামস সুমন, বিজরী বরকতউল্লাহ, সাবেরী আলম, শতাব্দী ওয়াদুদ, চাঁদনী, মৌসুমী বিশ্বাস, শশী, শ্যামল, সমাপ্তি ও অন্যান্য ॥ গল্প : অন্ধকার থেকে আলো আবার আলো থেকে মধ্যরাতের অন্ধকারে ডুবে যায় আমাদেরই অতি পরিচিত মেট্রো সিটি ঢাকা। এ শহরের প্রতিটি রাস্তা অলি গলি দালান কিংবা উদ্যান আমাদের চির চেনা। মনে হয় যেন রোজ সকালে দেখা হয় এই শহরের সাথে - শহরে ব্যস্ত ছুটে চলা মানুষ গুলোর সাথে। মনে হয় যেন মুখে মুখ লাগিয়ে দেখতে পাবো সবাই আমরা কেমন একই রকম মুখোশ আটা। তারপরও তো সবাই ভিন্ন ভিন্ন মানুষ। একবার যদি এদের মুখোশের ফাঁক গলিয়ে দেখা যায় তবে আমরা দেখতে পাই কি বিচিত্র সব জীবন। হাসি আনন্দের মধ্যে রঙীন কাপড়ের পাট করা ভাঁজের মধ্যে কেমন সূ ভাবে লুকিয়ে থাকে বেদনা আর জীর্ণতার ছোপ ছোপ দাগ। সবাই যখন একই ছাদের নীচে অবস্থান করে তখনও জানা হয়না একজন আরেক জনকে সম্পূর্ণরূপে অথবা কে কার পরিপূরক। রং বদলায় ভিন্নতার সাথে তাল মিলিয়ে। কারো সংসার হয় কারো বা হয়ে থাকা সংসার এর মাঝখানে ছিড়ে যাওয়া দাগটা ঢেকে রাখতে চায়। কিন্তু এরা সবাই ছুটছে এক অদৃশ্য মেট্রোপলিটন কালচারের দিকে।

একুশে টিভি

সন্ধ্যা ০৬টা ৩০ মিনিট ॥ সরকারী এবং বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে ভিন্ন আঙ্গিকে নির্মিত অনুষ্ঠান : ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ॥ আর জে নিরবের ঊপস্থাপন্ায় অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেছেন ফাতেমা শিলু ॥ ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠানটি একটি  কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়র ঐতিহ্য সবার সামনে তুলে ধরা হয়। এতে ক্যাম্পাস পরিচিতি সহ থাকে ক্যাম্পাসের নানা তথ্য। শুধু তথ্যই নয় কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সংস্কৃতিক র্কাযক্রমও উঠে আসে এই অনুষ্ঠানটিতে। কলেজের শিাদান পদ্ধতি, ফলাফল , প্রশাসনব্যবস্থা সহ নানা বিষয় তুলে ধরা হয়। কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান দেন শিাব্যবস্থা নিয়ে মতামত। ছাত্র-ছাত্রীরাও শেয়ার করে তাদের এইম ইন লাইফ, সমকালীন ভাবনা সহ আরো নানা মজার বিষয় ॥


রাত ০৯টা ৩০ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক : জহুর আলী জহুরি ॥ খলিলুর রহমান শাওনের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন  কায়সার আহমেদ ॥ বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, ডলি জহুর, আনিসুর রহমান মিলন, লিটু আনাম, আজিজুল হাকিম, কুসুম শিকদার, বিন্দু, খ ম হাসান, আব্দুল রাতিন, মোমেনা চেীধুরী, শামীম, সাজু খাদেম সহ অনেকে ॥ গল্প : পুরনো ঢাকার অধিবাসী জহুর আলী একজন পেশাদার জহুরি। একটি জুয়েলারীতে তিনি কাজ করেন। স্বর্ণ ও পাথর পরীা করার পাশাপাশি তিনি হস্তরেখা দেখে ভাগ্য পরীা করেন এবং বিভিন্ন খদ্দেরের কাছে পাথর বিক্রি করেন। জহুরের বাবা সবুর আলী একই পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। জহুরগিড়ি জহুর আলীর বংশের ঐতিহ্য এবং পবিত্র পেশা। সে কারণে অন্য পেশা গ্রহণ করেন নি জহুর আলী। অন্যের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য নানান ধরণের পাথর বন্দোবস্ত করে দিলেও নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি তার পরিবারের। তবও তিনি গভীরভাবে বিশ্বাস করেন তার বাপ দাদার পবিত্র পেশাই একদিন তার সেীভাগ্য ফিরিয়ে আনবে। জহুর আলীর তিন মেয়ে। তারা হলেন হীরা, চুন্নী এবং পান্না। হীরাকে বড় আশা করে বিয়ে দিয়েছিলো সহজ সরল যুবক রজব ওস্তাগারের সাথে। কিন্তু স্বামীর ভালোবাসা থাকা স্বত্তেও হীরা বেশি দিন স্বামীর ঘর করতে পারেনি। ননস চানবানুর ষ^ড়যন্ত্রে বাবার বাড়িতে ফিরে আসতে হয় তাকে। চানবানু প্রতি নিয়ত চাপ দেয় হীরাকে তালাক দিয়ে আরেকটা বিয়ে করতে। কিন্তু রজব রাজী হয়না। একসাথে না থাকতে পারলেও স্ত্রীর সাথে তার অটুট ভালোবাসা আছে। জহুর আলীর বিশ্বাস তার পাথরের কারণে হীরার বিয়ে এখনও টিকে আছে। তিনি আশা করেন পাথরের কল্যানে একদিন হীরা তার স্বামীর বাড়িতে ফিরে যেতে পারবেন। চুন্নী এস এস সিতে ফেল করে ঘরে বসা। তার বিয়ের চেষ্টা করছেন। জহুর আলী প্রতি মাসেই নতু নতুন পাথর ব্যাবহার করতে দেয়। রজব ওস্তাগারের ছোট ভাই নয়া চানকে সে পছন্দ করে। কিন্তু তার হাব ভাবে তা প্রকাশ পায়না। নয়া চান নিশ্চিত হতে পারেনা চুন্নী তাকে ভালোবাসে কিনা। পান্না স্থানীয় কলেজে ডিগ্রী কাসে পড়ে। আধুনিক শিা পেয়ে পান্না অনেক বেশি আশাবাদী। বাবার পাথরের প্রতি অন্ধ বিশ্বাস করে সে। এ নিয়ে বাবার সাথে পান্নার ঠান্ড লড়াই আছে। পান্নাও পছন্দ করে নয়া চানকে। নয়া চান দুবোনের সাথেই সর্ম্পক রাখে। এই আশায় সে দুজনের এক জনকে সে বিয়ে করার সুযোগ পাবে ॥

 বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২০ ১০, আগস্ট ১৬, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।