গ্ল্যামার-ওয়ার্ল্ডের অন্যতম সম্মানজনক প্রতিযোগিতা মিস ইউনিভার্স। অ্যাঙ্গোলার কৃষ্ণ-সুন্দরী লাইলা লোপেজ জিতে নিলেন মিস ইউনিভার্স- ২০১১ খেতাব।
এবারের মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার আপ হন ইউক্রেনের সুন্দরী ওলেসিয়া স্টেফাঙ্কো। প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় রানার আপ নির্বাচিত হন যথাক্রমে ব্রাজিলের প্রিসিলা ম্যাসাদো এবং চীনের লিউ জিলিন।
আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়ে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় এবার অংশ নেন মোট ৮৯ জন সুন্দরী। ব্রাজিলের ঐতিহ্যবাহী সাম্বা নৃত্যের মাধ্যমে শুরু হয় এবারের প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠান। জমকালো এ অনুষ্ঠানে শেষপ্রান্তে ঘোষণা করা হয় খেতাব বিজয়ীর নাম। সবাইকে অবাক করে দিয়ে ঘোষনা করা হয় মিস অ্যাঙ্গোলা লাইলা লোপেজের নাম। কারণ প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই তিনি ছিলেন আলোচনার বাইরে।
২০১০ সালের মিস ইউনিভার্স মেক্সিকান সুন্দরী জিমেনা নাভারেতি তার উত্তরসূরি লাইলা লোপেজের মাথায় পরিয়ে দেন মিস ইউনিভার্সের মুকুট ।
২৫ বছর বয়সী লাইলা লোপেজ হলেন মিস ইউনিভার্স খেতাব বিজয়ী চতুর্থ আফ্রিকান সুন্দরী। ব্যবসায় স্নাতক শিক্ষার্থী লোপেজের জন্ম মধ্য আফ্রিকার দেশ অ্যাঙ্গোলার বেনগুয়েলা শহরে। এ বছর তিনি মিস অ্যাঙ্গোলা খেতাব জিতেন। সেই সুত্রেই মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ। তিন সপ্তাহ আড়ে ব্রাজিলের সাও পাওলোতে আসেন নেহাত অংশ নেওয়ার জন্যই। কখনো ভাবেননি শিরোপা জিতবেন। তাই তার নামটি উচ্চারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রথম কয়েক মুহূর্ত বিস্ময়ে লোপেজ নির্বাক হয়ে যান। ঘোর কাটতেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এটি ছিল আনন্দ আর সাফল্যের কান্না।
মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় লাইলা লোপেজ বিচারকদের মুগ্ধ করেন তার সপ্রতিভ আচরণ আর বুদ্ধিমত্তা দিয়ে। তার কাছে বিচারকরা জানতে চেয়েছিলেন, ‘তাকে যদি শরীরের কোনো অংশের পরিবর্তন আনার সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে তিনি শরীরের কী পরিবর্তন আনবেন?’ উত্তরে লাইলা লোপেজ বলেন, ‘আমি যা, তা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। ’
বিচারকদের কাছে লাইলা বলেন, ‘বাইরের কিছু নয়, ভেতরের সৌন্দর্যটাই আমার কাছে আসল। আমি আমার পরিবারের কাছ থেকে ভালোভাবে আর্দশ নিয়ে বেঁচে থাকার শিক্ষা পেয়েছি। আমি এই শিক্ষা আজীবন অনুসরণ করতে চাই। ’
বাংলাদেশ সময় ০০২৫, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১১