নন্দিত অভিনেত্রী অপি করিম আবার বিয়ে করেছেন। পাত্র এই সময়ের আলোচিত নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জল।
বিয়ের পর কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের পান্থপথের বাসায় উঠেছেন অপি করিম। সেখানেই শুরু করেছেন সংসার জীবন। অপি করিমের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আগামী ডিসেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে অপি করিম ও মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের বিবাহোত্তর সংবর্ধ্বন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রায় দেড় বছর ধরে অপি করিম জার্মানিতে ল্যান্ডস্কেপ আর্কিটেকচার বিষয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করছেন। এর মধ্যে একাধিকবার তিনি ছুটিতে দেশে ফিরেন। এ সময় অপি করিমকে দেখা গেছে মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের নাটকেই শুধু অভিনয় করতে। গত ২৪ আগস্ট একমাসের ছুটিতে তিনি দেশে ফিরেছেন বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েই। চলতি মাসের শেষে তিনি আবার জার্মানি চলে যাবেন।
নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের এটি প্রথম বিয়ে হলেও অপি করিমের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। ২০০৭-এর ২৭ অক্টোবর সম্পূর্ণ পারিবারিক পছন্দে অপি করিমের বিয়ে হয়েছিল জাপান প্রবাসী ড: আসির আহমেদের সঙ্গে। তিনি জাপানের কিউসু বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব কম্পিউটর সায়েন্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এসোসিয়েট প্রফেসর। বিয়ের একবছর পরই তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। গতবছর নভেম্বররে তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়।
মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের সঙ্গে অপি করিমের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে একধরণের গুঞ্জন ছিল। কিন্তু বরাবরই তারা দুজনই তা অস্বীকার করে গেছেন। বলেছেন, সহকর্মী ছাড়া তাদের মধ্যে অন্য কোনো সম্পর্ক নেই।
মাসুদ হাসান উজ্জ্বলকে বিয়ে করা প্রসঙ্গে অপি করিমের সঙ্গে কথা বলে বাংলানিউজ। শুরুতেই তিনি তাদের জন্য সবার দোয়া চান। অপি করিম বলেন, আমরা একসঙ্গে বেশ কিছু ভালো নাটক করেছি। কাজ করতে করতেই দুজনের মধ্যে বিশ্বাস আর সহমর্মিতা গড়ে উঠে। আমরা একে অন্যকে ভালোভাবে বুঝতে পারি। সে থেকেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত।
অপি করিম জানান, বিয়ে করার প্রস্তাব মাসুদ হাসান উজ্জ্বলই তাকে প্রথম দিয়েছেন। তিনি সিদ্ধান্তের জন্য সময় নেন। অনেক চিন্তা-ভাবনা করে বিয়ের সম্মতি জানান গত মাসে। সেই সঙ্গে শর্ত দেন, বিয়েটা হতে হবে পারিবারিক মধ্যস্থতায়। সেই অনুযায়ী দুই পরিবারের সম্মতিতেই তাদের বিয়ে হয়েছে।
মাসুদ হাসান উজ্জ্বল এই সময়ের একজন আলোচিত তরুণ নির্মাতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগ থেকে তিনি স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। নাটক, টেলিছবি ও বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণকেই গ্রহণ করেছেন পেশা হিসেবে। অপি করিমকে বিয়ে করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একসঙ্গে নাটকে কাজ করা থেকেই অপির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়। অপি জার্মানি থাকার সময়ও আমাদের মধ্যে যোগযোগ ছিল। একে অন্যেও প্রতি আস্থা থেকেই আমরা বিয়ে করা সিদ্ধান্ত নেই। পারিবারিক কারণে বিষয়টি সবাইকে জানাতে পারি নি। আগামী ডিসেম্বরে সবাইকে নিয়ে রিসিপশন আয়োজনের ইচ্ছে আছে। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
মাসুদ হাসন উজ্জ্বলের পরিচালনায় অপি করিমের উল্লেখযোগ্য নাটক হলো ‘তিতির সুখ’, ‘অক্ষয় কোম্পানির জুতো’, ‘ছায়াচোখ’, ‘জলছাপ’, ‘সাদাআলো সাদাকালো’, ‘ছায়াফেরী’, ‘যে জীবন ফড়িংয়ের’, ‘থতমত এই শহরে’ প্রভৃতি।
অপি করিম চলতি মাসের শেষে জার্মানিতে পড়াশোনার জন্য ফিরে গেলেও। দুমাস পর চুড়ান্ত পরীক্ষা শেষ করে স্থায়ীভাবে দেশে ফিরবেন।
বাংলাদেশ সময় ২২৩০, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১১