সবার যেখানে শেষ, দ্বি-চারিণীর সেখানে শুরু। দ্বি-চারিণী পারে সবচেয়ে প্রিয়, সবচেয়ে ভালোলাগা পরিস্থিতি দ্রুত বদলাতে।
২০০৩ সালের আগস্ট মাসের এক রাত। ৮টা ৪৫ মিনিটে পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ ছাড়াই শুরু হলো ঝড়। এ ঝড়ের নাম কি জানতেন না আবহাওয়াবিদরাও। বিরহবিশেষজ্ঞ সঞ্জিত মজুমদার স্যারের অভিধানেও এর সমাধান মেলেনি। বন্ধু তুষারের মুখে শুনেছি-‘দেবদাস ঝড়’। ভালোলাগেনি। শুনেছি-এ ঝড়ের সুনির্দিষ্ট নাম হয় না। অহর্নিশি যুদ্ধ করেও সমাধান মেলেনি। হৃদয়ের রক্তক্ষরণ তিনবছর তিনমাসেও থামেনি। তোমার স্মৃতিতে, তোমার কথায়, তোমার জ্বালায় পাজর ভেঙ্গে যায়। হিসেবি বা বে-হিসেবি মন কখনোই তোমার স্মৃতি ভুলতে পারেনা। ‘দুধের সাধ যেমন ঘোলে মেটে না। ’
আমার অবস্থাও তাই। বছর দেড়েক আগে পরিবার আর আত্মীয়-স্বজনের পীড়াপীড়িতে একই ছাদের নিচে এসেছিল একজনা। চরণদাসী হয়ে ! অন্যায়, হাজারো অন্যায় করেছি তার প্রতি। অতুলনীয় অসম্ভব সুন্দরী ময়না খাতুন কখনও পায়নি স্ত্রীর মর্যাদা। অবশ্য একটিতে শুধু মিল। জানো কি? তোমাকে (জেবা) আমি প্রাণপাখি ময়না বলতাম। ওর নামও ময়না, ময়না খাতুন।
কী ছিল জেবার? ময়নার এমন প্রশ্নে বিব্রত হয়েছি লক্ষবার। কী ছিল জেবা ফারিয়ার? লক্ষ-কোটিবার বলার পরও উত্তর দিতে পারিনি। ‘একজন আরেকজনের মত হয় না। ’-এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারিনি। তিন বছর আগের অপ্রিয় সেই রাতই বেশি প্রিয় হয়ে আছে। মনে আছে জেবা? তোমার প্রিয় হাত, গায়ের ঘ্রাণ কখনও ভুলতে পারিনি।
চরম অবহেলা ও অবজ্ঞার উৎকৃষ্ট উদাহরণ জমা করে ময়না হেটেছে তার নিজস্ব ভুবনে। যে তার জন্য আলোকবর্তিকা হয়ে আছে, হয়ত তারই জন্যে...। দেড় বছরে এমন বঞ্চনার উদাহরণ আর একটিও আছে কিনা, তা হয়ত জানবে না বঞ্চিত ময়না। জানলেও ময়নাই হবে সেরাদের সেরা। আর আমি...। আমার একান্ত, অতিএকান্ত এবং একান্তের একান্ত সেই প্রিয়মুখের অপেক্ষায় থাকি...।