ঘড়ির এলার্ম বাজতেই প্রচণ্ড মাথাব্যাথা নিয়ে ঘুম থেকে উঠল অথৈ। ঘুম না হলেও অফিসে যাওয়ার সময় ছুঁইছুঁই, তাই না উঠে উপায় নেই।
আমাদের জীবন চলার পথে টেনশন থাকবেই। কিন্তু তাই বলে এর ক্ষতিকর প্রভাব যেনো স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে স্হবির না করে এর জন্য আমরা অনুসরণ করতে পারি কিছু পদ্ধতি।
যে কোন কাজ করার আগে পরিকল্পনা মাফিক এগুনো উচিত। এতে কাজের চাপও কমবে এবং কাজটিও গোছানো হবে।
নিয়মিত ব্যায়াম, ইয়োগা, প্রার্থনা করলে টেনশন কমানো যায় এবং শরীরকে চাঙা করতে পারে নিমিষেই। আর শরীর ফিট তো মনও ফিট ।
চোখ বন্ধ করে ৯৯ থেকে উল্টো করে ১ পর্যন্ত তিনবার গুণুন। এতে টেনশনের বিষয় থেকে খানিকটা সময় মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়া যায় ।
কম্পিউটারে বা টিভিতে দেখুন প্রিয় কোন মুভি, খেলুন গেইমস্, সুর হোক আর নাই হোক উচ্চস্বরে গেয়ে উঠুন পছন্দের কোন গান অথবা মিউজিকের ছন্দে নাচের ভঙ্গিতে কিছুক্ষণ হাত-পা হেলিয়ে দুলিয়ে নাচতেও পারেন।
যতটা পারা যায় হাসি-খুশি থাকুন, হাসি আমাদের উদ্বেগ বাড়ানো হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়। এছাড়া যান্ত্রিক এই জীবনে মানসিকভাবে সুস্হ থাকতেও হাসি যোগায় প্রাণশক্তি!
প্রিয় লেখকের উপন্যাস, কবিতার বই মনকে হালকা করার সাথে সাথে মনের জগতটাকেও করে বিশাল। তাই বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
আনন্দদায়ক কোন স্মৃতির ভেলায় বেরিয়ে আসতে পারেন কিংবা প্রিয় মূহুর্তের ছবির অ্যালবামে চোখ বুলাতে পারেন।
পেইন্টিং বোর্ডে সবগুলো রঙে সেড দিয়ে এঁকে ফেলুন মনের ইচ্ছে মত রংধনু।
ডায়েরিতে লিখে ফেলুন মনের সব বলা না বলা কথা।
প্রকৃতি আমাদের নতুন করে ভাবতে শেখায়। লেকের ধারে, ঝিলের পাড়ে কিংবা সবুজ চত্বরে যেখানে যেতে মন চায় ঘুরে আসুন। পথ থেকে কুড়িয়ে নিন একটি-দুটি বকুল বা ঘাস ফুল...
দীর্ঘদিন কোনো বিষয় নিয়ে টেনশন করা আমাদের শরীর এবং মনের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে, এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
মডেল: সৌমি
মেকআপ: ওমেন্স ওয়াল্র্ড
ছবি: নূর