গত ২৮ জুলাই ইস্ট লন্ডনের ব্রার্ডি আর্টস সেন্টারে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট পরিবেশ পদকপ্রাপ্ত সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
অনুষ্ঠানে মনজিল মোরসেদ বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও নারী নির্যাতনের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য যেভাবে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে, তেমনিভাবে ট্রাইব্যুনাল গঠন করে প্রবাসীদের মামলার বিচার সম্পন্ন করার আহবান জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের অনেকেই প্রবাসীদের সমস্যা সম্পর্কে আন্তরিক হলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে সমস্যা সমাধানে অগ্রগতি নেই। প্রবাসীদের বর্তমান সমস্যাগুলো সমাধান না হলে দেশের বাইরে থাকা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বাংলাদেশ থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে, যার প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে ।
প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মকর্তাদের প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে আন্তরিক হওয়ার আবেদন জানান এ আইনজীবী।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি সাংবাদিক মো. রহমত আলী। অনুষ্ঠান যৌথভাবে পরিচালনা করেন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক স্পিকার কাউন্সিলর আয়াছ মিয়া ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আবুল হোসেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্বনাথ-ওসমানী নগর আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান, ক্রয়ডন কাউন্সিলের মেয়য় হুমাউন কবির, নিইহ্যাম কাউন্সিলের ডেপুটি স্পিকার ব্যারিস্টার নাজির আহমদ, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের ডেপুটি স্পিকার কাউন্সিলর আহবাব হোসেন, বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া, এইচআরপিবি জেদ্দা শাখার আহবায়ক এবিএম নূরুল হক, ফ্রান্স শাখার সভাপতি মো. শামসুল ইসলাম, এইচআরপিবি কানাডার প্রতিনিধি সাংবাদিক ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষক তাজুল মোহাম্মদ, এইচআরপিবি আমেরিকার প্রতিনিধি মানবাধিকার কর্মী গোলাম সাদাত জুয়েল।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক স্পিকার আব্দুল মুকিত চুনু, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার তারেক চৌধুরী, কাউন্সিলর শাহ সুহেল আমিন, কাউন্সিলর রাজীব আহমদ, কাউন্সিলর সদরুজ্জামান খান, কাউন্সিলর ফয়জুর রহমান, ড. রোয়াব উদ্দিন, মিসবাহ জামাল, মনজ্জির আলী, ডা. শানুর আলী মামুন, শাহনুর খান, আফসানা বেগম, সুরুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ।
জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি প্রাপ্তির ব্যাপারে বক্তারা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা যেখানে মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত দেশের নানা দুঃসময়ে সহযোগিতা করে আসছেন, সেখানে এই কার্ড অন্যান্য দেশে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার প্রস্তুতি নেওয়া হলেও যুক্তরাজ্যে তার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। অথচ এনআইডি কার্ড না থাকলে দেশে ব্যাংক, জমি ক্রয়, টেলিফোন মোবাইল সংযোগ স্থাপনসহ কোনো কাজ করা যাচ্ছে না। প্রবাসীদের ভোটাধিকার না থাকলে প্রবাসীরা দেশের নাগরিক বলে গণ্য হবেন না, আর তখন তারা জায়গা-জমির মালিকানা থেকে বঞ্চিত হবেন।
অনেক ভুক্তভোগীর উপস্থিতিতে সেমিনারে প্রবাসীদের জায়গা-জমি সমস্যা, মিথ্যা মামলায় হয়রানি, বিমানবন্দর ও কাস্টমসে হয়রানি, প্রবাসীদের হাইকমিশনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি কার্ড প্রদান, প্রবাসীরা যে দেশে আছেন সেখান থেকেই ভোটদানের ব্যবস্থা করা ও বাংলাদেশের পাসপোর্টের মেয়াদ ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করাসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৯
ইএস/এইচএ/