ঢাকা, সোমবার, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

দেশে খাদ্যের অভাব নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২২
দেশে খাদ্যের অভাব নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা. স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আজকে দেশে খাদ্যের অভাব নেই। আগে ৫০ লাখ টন খাদ্য উৎপাদন ঘাটতি ছিল।

সেটা পূরণ হয়েছে।  

তিনি বলেন, রিজার্ভ নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি করা হচ্ছে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় আসে তখন রিজার্ভ ছিল সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে ৩৫ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ আছে।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে অষ্টম আন্তর্জাতিক হোমিওপ্যাথিক বিজ্ঞান সেমিনার উপলক্ষে সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজ ইন হোমিওপ্যাথি (ক্যাশ) আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, খাদ্যের দাম বেড়েছে। বিশ্বজুড়ে সবকিছুর দাম বেড়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে। বাংলাদেশে কাঁচামাল আনতে হয় তিন গুণ দাম দিয়ে। কাজেই সব মিলিয়ে আমাদের রিজার্ভের ওপর একটু চাপ বেড়েছে। তবে সেটি কেটে যাচ্ছে। এখন শুধু চাপ আছে টেলিভিশনের পর্দায়। টক-শোতে। কথা শুনলে মনে হয়, ধাক্কা দিলেই সরকার পড়ে যাবে। আরে হিমালয় পর্বতকে কী ধাক্কা দিয়ে ফেলা যায়? আমাদের মহাসচিব একটা কথা বলেন, খেলা হবে। আওয়ামী লীগের এ টিম দরকার নেই, বি টিমের সঙ্গে খেলায় পারবেন না।

জাহিদ মালেক বলেন, যেকোনো সেবা যেটা মানুষের কাজে লাগে, বিভিন্নভাবে করা যায়। যেমন- যারা শিক্ষক তারা মানুষকে শিক্ষা দেয়, যারা ইঞ্জিনিয়ার তারাও মানুষকে সেবা দেয়। সব সেবাই গুরুত্বপূর্ণ। সবচেয়ে বেশি আমি যে সেবাকে গুরুত্ব দিই, সেটা হলো চিকিৎসা সেবা। মানুষের জীবন নিয়ে তারা ডিল করে। মানুষ যখন জন্মায়, তখন একজন চিকিৎসকের মাধ্যমে আসে, যখন বিদায় নেয় তখনও একজন চিকিৎসকের সামনে বিদায় নেয়।

মন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন যে দেশে বিশৃঙ্খলা হয়, বোমাবাজি হয়, সে দেশে কোনো উন্নয়ন হয় না। ইউক্রেনের দিকে তাকিয়ে দেখেন, কী অবস্থা হচ্ছে। কাজেই উন্নয়নের জন্য দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ এশিয়ায় প্রথম হয়েছে। সারা বিশ্বে পঞ্চম অবস্থানে আছে। প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার টিকা মানুষকে দেওয়া হয়েছে বিনামূল্যে। সে সময় আপনারা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকরাও সেবা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, হোমিওপ্যাথি একটি পরীক্ষিত চিকিৎসা ব্যবস্থা। এটার কোনো সাইড ইফেক্ট নেই। এটাতে কোনো এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স নেই। আপনাদের মানুষের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে হবে। আমি নিজেও অ্যালোপ্যাথি নেই না। হোমিওপ্যাথি নিই। চায়না, ইউরোপের অনেকগুলো দেশ হোমিওপ্যাথির ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়। কাজেই আপনাদের আরও বেশি রিসার্চ করতে হবে। নিজেদের সেবাকে তুলে দিতে হবে। আগামী দিনে হোমিওপ্যাথির বাজেট বাড়ানো হবে।

ক্যাশ বাংলাদেশের সভাপতি ডা. এম এ কাদেরের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাইফুল হাসান বাদল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. খুরশীদ আলম ও বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২২
এমকে/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।