ঢাকা: যৌন হয়রানি বন্ধে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সংবেদনশীল হতে হবে বলে মনে করেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবে ‘প্রস্তাবিত যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন-২০২২’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, যৌন হয়রানি প্রতিরোধে প্রশাসন, আইন ও বিচার ব্যবস্থা সচল থাকা সত্ত্বেও সমাজের বিভিন্ন স্তরে এটি লক্ষ্য করা যায়। এই ব্যাধি প্রতিরোধে প্রশাসনিক, সামাজিক ও বিচারিক কার্যক্রম আরও নিশ্ছিদ্র হতে হবে। শুধু আইনের মাধ্যমে এ ধরণের অপরাধ সমাজ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে না। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সংবেদনশীল হতে হবে।
শামসুল হক টুকু বলেন, যৌন হয়রানির মামলায় সাধারণত সাক্ষী পাওয়া যায় না। তাই আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সব ধরণের প্রতিবন্ধকতাকে বিবেচনায় নিয়ে খসড়া প্রস্তুত করতে হবে। পুর্ণাঙ্গ এবং যুগোপযোগী একটি আইন তৈরিতে সবার মতামত গ্রহণ করে বিশেষজ্ঞদের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে খসড়া প্রস্তুত করতে হবে।
জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সহসভাপতি শাহিন আক্তার ডলির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা ও আদিবা আনজুম মিতা বক্তব্য দেন।
মহিলা ও শিশু ষিয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, অতিরিক্ত ডিআইজি, আইন মন্ত্রণালয় ও সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২২
এসকে/এমজে