জামালপুর: জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার যমুনা সার কারখানায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন পুলিশসহ উভয়গ্রুপের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে কারখানার গেটপাড়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও পোগলদিঘা ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
স্থানীয়রা জানান, যমুনা সার কারখানায় পরিবহন চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো।
এর জেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা সংঘবদ্ধ হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এসময় একপক্ষের বিরুদ্ধে গুলিবর্ষণের অভিযোগ ওঠে।
সংঘর্ষে পুলিশের এসআই আব্দুল মালেক (৪০), কনস্টেবল নজরুল ইসলাম (৫৭) ও কনস্টেবল মাজহারুল ইসলাম (৩২), ফজলুল হক বাবু (৩২), রোকন (৩০), রিপন (২৮), খালেদা (৬০), রাবেয়া (১৮), হাফিজুর (৩৫), বাচ্চু (৩৫), মোস্তাক (৪৫), মোতালেবসহ (২৫) অন্তত ১৫ জন আহত হন। গুরুতর আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় খুটামারা বিলে গ্রামবাসী মাছ চাষ করেছে। রফিকের লোকজন জোর করে বিলের সেই মাছ মারতে যায়। তাদের বাঁধা দিলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এসময় রফিকের গ্রুপের লোকজন ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তবে রফিকুল ইসলাম এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কারণ ছাড়াই চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আমার বাণিজ্যিক কার্যালয় ও দুইজন কর্মীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এসময় কার্যালয়ের ম্যানেজার শাহ আলমকে মারধর করে নগদ টাকা লুট করা হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, সার কারখানায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এসময় ইটপাটকেলের আঘাতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২২
এনএস