ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পক্ষপাতমূলক আচরণের সমালোচনায় বিশিষ্ট নাগরিকরা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২২
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পক্ষপাতমূলক আচরণের সমালোচনায় বিশিষ্ট নাগরিকরা

ঢাকা: রাজধানীর শাহীনবাগে সাবেক ছাত্রদল নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাসায় যাওয়া ও মায়ের কান্না নামে সংগঠনের স্মারকলিপি গ্রহণ না করায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের আচরণকে পক্ষপাতমূলক বলে সমালোচনা করেছেন বিশিষ্ট নাগরিকরা।

গণমাধ্যমে পাঠানো অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

 

এতে বলা হয়েছে, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস গত ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সাবেক ছাত্রদল নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের রাজধানীর শাহীনবাগের বাসায় যান। সে সময় তিনি বেরিয়ে আসার পরে মায়ের কান্না নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা তাদের দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি দিতে গেলে তিনি কথা না শুনে তাদের এড়িয়ে যান।

পিটার হাসের এ আচরণকে বিশিষ্টজনেরা কূটনৈতিক শিষ্টাচার বর্হিভূত আচরণ হিসেবে দেখছেন, যা কিনা ভিয়েনা কনভেনশনের (১৯৬১) পরিপন্থী। একই সাথে তার এ ধরনের আচরণ কূটনৈতিক দায়িত্বের পর্যায়ে ফেলা যায় কিনা, নাকি এর মধ্য দিয়ে তিনি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সরাসরি জড়িয়ে পড়লেন এবং বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষভুক্ত হলেন কিনা এ নিয়ে দেশের জনগণের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ‘সেনাবিদ্রোহ’ দমনের নামে শতশত সেনা সদস্যকে বিনা বিচারে হত্যা করা হয়েছিল। ১৯৭৭ সালের ৯ অক্টোবর থেকে মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে ১১০০ থেকে ১৪০০ জন সেনা সদস্যকে কারাগারের অভ্যন্তরে গণহারে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। সে হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবিতে সে সকল শহীদ পরিবারের সদস্যরা সংগঠিত হয়েছেন মায়ের কান্না নামে সংগঠনের ব্যানারে। পিটার হাস তাদের কাছ থেকে স্মারকলিপি গ্রহণ করলে কেউ তাকে পক্ষপাতপূর্ণ আচরণের দায়ে অভিযুক্ত করতে পারতেন না। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এ ধরনের শিষ্টাচার বর্হিভূত পক্ষপাতমূলক আচরণের তীব্র সমালোচনা করে এটাকে দুঃখজনক ও অনিভিপ্রেত বলে উল্লেখ করেছেন নিম্ন বর্ণিত বিশিষ্ট নাগরিকরা।

১. অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাবেক উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
২. অধ্যাপক ড. রফিকুন নবী (রনবী), দেশবরেণ্য শিল্পী ও অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৩. অধ্যাপক ড. হাশেম খান, দেশবরেণ্য শিল্পী ও অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৪. অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাবেক চেয়ারম্যান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
৫. অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাবেক প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা), ঢাকা
৬. অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাবেক উপাচার্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
৭. অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাবেক উপাচার্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৮. অধ্যাপক ড. সহিদ আখতার হোসেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাবেক প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৯. অধ্যাপক ড. এম. অহিদুজ্জামান, সাবেক উপাচার্য, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১০. অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১১. অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবেক চেয়ারম্যান, ইউজিসি
১২. অধ্যাপক ড. এ এ মামুন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
১৩. অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
১৪. অধ্যাপক ড. আব্দুল বায়েস, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
১৫. অধ্যাপক ড. অজিত কুমার মজুমদার, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
১৬. অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়  
১৭. অধ্যাপক সনৎ কুমার সাহা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
১৮. অধ্যাপক চৌধুরী জুলফিকার মতিন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, কবি, সাহিত্যিক
১৯. বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মলয় কুমার ভৌমিক, একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও নাট্যব্যক্তিত্ব
২০. অধ্যাপক আবদুল খালেক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাবেক উপাচার্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়  
২১. শিল্পী অরুনা বিশ্বাস, দেশবরেণ্য শিল্পী
২২. ইকবাল সোবহান চৌধুরী, চেয়ারম্যান ডিবিসি নিউজ
২৩. সাইফুল আলম সাবেক সভাপতি, জাতীয় প্রেসক্লাব
২৪. আবুল কালাম আজাদ, এমডি, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা
২৫. শ্যামল দত্ত সম্পাদক, দৈনিক ভোরের কাগজ
২৬. ওমর ফারুক সভাপতি, বিএফউজে
২৭. সোহেল হায়দার চৌধুরী সভাপতি, ডিইউজে
২৮. ইমদাদুল হক মিলন, প্রধান সম্পাদক, দৈনিক কালের কণ্ঠ
২৯. এনামুল হক চৌধুরী, এডিটর, ডেইলি সান

নিউজ ডেস্ক/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।