ঢাকা: রাজধানী খিলক্ষেত রেলগেট এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় আহত অজ্ঞাতনামা এক নারী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১৪ দিন অচেতন অবস্থায় পরিচয় শনাক্ত না করলেও মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পরে ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে পুলিশ তার নাম-ঠিকানা বের করে।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে এ বিষয়ে কথা হয় বিমানবন্দর রেলস্টেশনের পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সানু মং মারমার সঙ্গে।
তিনি জানান, গত ৫ ডিসেম্বর সকালের দিকে খিলক্ষেত রেলগেট এলাকায় একটি ট্রেনের ধাক্কায় ওই অজ্ঞাতনামা নারী আহত হন। ঘটনার দিন থেকেই আহত হয়ে ওই অজ্ঞাতনামা নারী ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। টানা ১৪দিন হাসপাতালের ২০৪ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন থাকার পরে সোমবার সকালে মৃত্যু হয়।
তার মৃত্যুর সংবাদে নিয়ম অনুযায়ী সিআইডির ক্রাইমসিনকে খবর দেওয়া হয়। তারা হাসপাতালের লাশঘরে গিয়ে নিহত নারীর ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করে তার নাম-ঠিকানা শনাক্ত করেন।
সংগ্রহকৃত ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে জানা যায়, নিহত নারী কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিয়াবাজার পোস্ট অফিসের জগমোহনপুর গ্রামের কফিল উদ্দিনের সন্তান সেলিনা আক্তার। তার মায়ের নাম পেয়ারা খাতুন।
তিনি আরও জানান, অজ্ঞাতপরিচয় ওই নারী হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময় তার বয়স (৫০) দেওয়া হয়েছিল। তার অবস্থা গুরুতর ছিল, তিনি অচেতন ছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুর পরেই তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করে সিআইডি পুলিশ তারপরে শনাক্ত হয়।
শেষ খবর পাওয়ার পর্যন্ত নিহত নারীর আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২২
এজেডএস/এসএ