ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

২২-২৪ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলে গ্রাম পাঠাগার সম্মেলন

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২২
২২-২৪ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলে গ্রাম পাঠাগার সম্মেলন

জ্ঞাননির্ভর ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ নির্মাণে ‘পাঠাগার হোক গণমানুষের বিশ্ববিদ্যালয়’— এ স্লোগানকে সামনে রেখে সারা দেশে বেসরকারিভাবে যে পাঠাগারগুলো গড়ে উঠেছে সেই সব পাঠাগারের সংগঠকদের নিয়ে আগামী ২২ ডিসেম্বর থেকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৩ দিনব্যাপী পাঠাগার সম্মেলন।

পাঠাগারগুলোর সংগঠকদের পারস্পরিক ভাববিনিময়, যোগাযোগ বৃদ্ধি, সাংগঠনিক নানা সমস্যা নিয়ে মতবিনিময়, সরকারের কাছে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরা এবং পাঠাগারগুলোর সঙ্গে চিন্তার ঐক্যসূত্র গড়ে তোলা এই সম্মেলনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর থানার অর্জুনাতে আগামী ২২ ডিসেম্বর শুরু হয়ে এই সম্মেলন চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সম্মেলনের উদ্বোধন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক। প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। সম্মেলনে আরও উপস্থিত থাকবেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, নাট্যকার মামুনুর রশীদ, কবি মিনার মনসুর প্রমুখ।

সারা দেশের ১৭০টি পাঠাগার থেকে পাচঁ শতাধিক সংগঠক সম্মেলনে যোগ দেবেন। পাঠাগার সুহৃদ হিসেবে যোগ দেবেন শতাধিক ব্যক্তি ও সমমনা সংগঠন বিভিন্ন সংগঠন।

সম্মেলনে যা যা থাকছে
পাঠাগারের সংকট, সম্ভাবনা, বেঁচে থাকার কৌশল, পাঠক বৃদ্ধির উপায়, সরকারের করণীয়, দাবি-দাওয়া, সমাজে পাঠাগারের ভূমিকা ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে থাকবে সেমিনার। সেমিনারগুলোতে বক্তব্য রাখবেন দেশবরেণ্য ব্যক্তিরা। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেবে পাঠাগারের সংগঠকরা।

বইপাঠ প্রতিযোগিতা
সারা দেশের পাঠাগার সংগঠকদের জন্য শুধু এই সম্মেলন নয়। পাঠাগারের যে পাঠকরা আছেন তাদের কথা মাথায় রেখে আয়োজন করা হয়েছে বইপাঠ প্রতিযোগিতা। এতে সেরা ৫০ জন পাঠক নির্বাচন করা হবে। তাদের প্রত্যেককে দেওয়া হবে ৫০০ টাকা সমমূল্যের বই। যে পাঠাগার থেকে পাঠকরা অংশ নেবেন সেই পাঠাগারকে দেওয়া হবে ১০০০ টাকা সমমূল্যের বই।

বইমেলা
ঢাকার বিভিন্ন নামকরা প্রকাশনীর স্টল থাকবে এই বইমেলায়। শিশু-কিশোরদের জন্য মানসম্পন্ন বই প্রকাশের প্রত্যয় নিয়ে এই সম্মেলন থেকেই যাত্রা শুরু করবে গ্রামীণ প্রকাশনী।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রান্তীয়জনের সংস্কৃতিকে নতুন প্রজন্মের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে এবং শিকড়ের কাছাকাছি থাকার জন্য থাকছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উত্তরবঙ্গের ভাওয়াইয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গম্ভীরা ও আলকাপ, মুন্সিগঞ্জের গাজির পট, দেশের নানা প্রান্তের শিল্পীদের নিয়ে লালনের গান আর থাকছে স্থানীয় সংগঠন গঙ্গাফড়িং-এর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

হস্ত ও কারুপণ্যের প্রদর্শনী
দেশের স্থানীয় শিল্পীদের তৈরি নানা ধরনের মাটি, বাঁশ, বেত ও পাটের তৈরি  পণ্যের পসরা বসবে এই সম্মেলনকে উপলক্ষ করে।

গবেষণাপত্র প্রকাশ
বেসরকারি পাঠাগারের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে একটা একাডেমিক লেবেলের গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। গত ৬ মাস মাঠ পর্যায় থেকে নানা তথ্য সংগ্রহ করে এই গবেষণা কর্মটি পরিচালনা করেছেন গবেষকরা।

স্মরণিকা প্রকাশ
নবীন ও প্রবীণ লেখকদের নতুন নতুন লেখা নিয়ে একটি স্মরণিকা বের করা হবে। প্রবীণ চিন্তাবিদদের লেখা যেমন স্থান পেয়েছে তেমনি নবীনদের ভাবনাও তুলে ধরা হয়েছে। পাঠাগার ভাবনা, পাঠক সংকট, প্রকাশনা শিল্পের সমস্যা, সংকট, সম্ভাবনা ইত্যাদি নানা বিষয় তুলে আনা হয়েছে এই স্মরণিকাতে।

সম্মেলনে দেশের নানা প্রান্ত থেকে যে সংগঠকরা আসবেন তাদের তিনদিনের থাকা ও খাওয়ার সু-ব্যবস্থা থাকবে। অংশগ্রহণকারীদের জন্য সার্টিফিকেট, ক্রেস্ট, টি-শার্ট এবং একটি প্রকাশনা থাকবে, যেখানে অংশগ্রহণকারী সকল পাঠাগারের পরিচিতি উল্লেখ থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২২
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।