ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ডেকে নিয়ে অটোচালককে হত্যার ১০ দিন পর মিলল মরদেহ, গ্রেপ্তার ১

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪
ডেকে নিয়ে অটোচালককে হত্যার ১০ দিন পর মিলল মরদেহ,  গ্রেপ্তার ১ নিহতের বাড়িতে শোকের মাতম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার ১০ দিন পর মহসিন মিয়া (২৪) নামে এক অটোচালকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার কুটি ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

 

নিহত মহসিন মিয়া উপজেলার কুটি ইউনিয়নের রানিয়ার গ্রামের আয়েত আলীর ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত পার্শ্ববর্তী গ্রামের মন মিয়ার ছেলে ঘাতক রাসেল মিয়াকে চট্রগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আয়েত আলী বাদী হয়ে কসবা থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।

নিহতের পরিবার জানায়, অটোচালক মহসিন মিয়া কিছুদিন আগে পাশের গ্রামের রাসেল মিয়ার মিয়ার কাছে একটি মোবাইল বিক্রি করে। পরে সেই মোবাইলের ব্যবহৃত নাম্বারগুলো সংরক্ষণের জন্য মোবাইলটি নিয়ে আসে। কিন্তু তা ফেরত দিতে বিলম্ব হওয়ায় দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জেরে ১৬ ডিসেম্বর রাতে রাসেল মিয়া মহসিনকে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিল মহসিন। মহসিন মিয়াকে পরিবারের লোকজন কোথাও খুঁজে না পেয়ে ১৮ ডিসেম্বরর রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে কসবা থানায় জিডি করে বাবা আয়াত আলী। পরে প্রযুক্তির সহায়তায় রাসেল মিয়াকে বুধবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে রাসেল তার সহযোগী রিপন মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে মহসিনকে হত্যার দায় স্বীকার করে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে চট্রগ্রাম থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।