কুমিল্লা: কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের মৈশাতুয়া ইউনিয়নের হাটিরপাড় গ্রামের সাদরুল আমিন সাচ্চু (৩৭)। কাজ করতেন একটি অভিজাত কোম্পানির সেলসম্যান হিসেবে।
ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। ততদিনে ক্যানসার জটিলতর রূপ ধারণ করে। চলতি বছরের ১১ ডিসেম্বর ঢাকার শেখ রাসেল হাসপাতালে মারা যান ভূমিহীন সাদরুল। আর এতে অকূল পাথারে পড়েন তার স্ত্রী আমেনা আক্তার। একদিকে ঘরে চার সন্তান। আরেকদিকে এতিম সাদরুলের চিকিৎসায় নিজেদের সম্বল বলতে যা ছিল, তার সবটুকুই ব্যয় হয়ে গেছে আমেনাদের। এ অবস্থায় সপ্তম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণিতে উঠতে যাওয়া বড় মেয়ে, চতুর্থ থেকে পঞ্চমে উঠতে যাওয়া বড় ছেলে, ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হতে যাওয়া ছোট মেয়ের পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার উপক্রম। আর নয় মাস বয়সী ছোট ছেলের তো কিছুই রইল না।
আমেনা আক্তার জানান, সাদরুলের বাবা-মা নেই। পাঁচ বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। ওর ঘরের জায়গাও ছিল না। আমার বাবা তাকে কিছু সম্পত্তি দান করেন। সেখানেই আমাদের বসবাস।
ডাক্তারের বরাত দিয়ে আমেনা আরও জানান, তার স্বামীর ক্যানসার হয়েছে দুই বছর আগে। শুরুতে রোগ চিহ্নিত করা গেলে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হতো না। দেরি হওয়ায় ওকে হারাতে হলো।
তিনি বলেন, এখন মানুষ সাহায্য করছেন। কিন্তু কতদিন এভাবে চলবে। একসময় তো সবাই মুখ ফিরিয়ে নেবে। চার সন্তানকে নিয়ে আমি কী করব! তাদের ভরণপোষণ, পড়াশোনা সব বন্ধ হয়ে যাবে।
মৈশাতুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান জানান, এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে যতটুকু সহায়তা করা সম্ভব, তা করার চেষ্টা করব।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২২
জেএইচ