ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ‘সাধারণ ক্ষমা’ চেয়ে আবেদন করেছেন মন্ত্রিত্ব ও দলীয় পদ হারানো জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ি) আসনের সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসান।
ভবিষ্যতে সম্মানহানি হয়, এমন কোনো কর্মকাণ্ড করবেন না বলেও অঙ্গীকার করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) এই আবেদনপত্রটি আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডি কার্যালয়ে জমা দেন। ডা. মুরাদের আবেদনপত্রটি আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয় থেকে নেওয়া হয়েছে।
‘সাধারণ ক্ষমা’ চেয়ে করা আবেদনপত্রে ডা. মুরাদ লেখেন, ‘আমি ডা. মুরাদ হাসান সংসদীয় আসন ১৪১, জামালপুর-৪ থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য। আমার বাবা মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আইনজীবী মতিয়র রহমান তালুকদার। আমি জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর ওই পদ থেকে আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ’
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সম্মানহানি হয় ভবিষ্যতে এমন কাজ করবেন না জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে দৃঢ় প্রত্যয়ে অঙ্গীকার করছি, ভবিষ্যতে এমন কোনো কর্মকাণ্ড করব না, যার ফলে আপনার বিন্দুমাত্র সম্মানহানি হয়। ’
আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ চেয়ে আবেদনপত্রের শেষাংশে লেখেন, ‘অতএব বিনীত নিবেদন এই, আমাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করে বাধিত করবেন। ’
আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে লেখা আবেদনপত্রের অনুলিপি কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি এবং বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরীকেও দেওয়া হয়।
এর আগে, শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলটির জাতীয় কমিটির বৈঠকে বির্তকিত বক্তব্যের জন্য গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও গাজীপুর নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমসহ সারা দেশের বিভিন্ন ঘটনায় সাংগঠনিক শাস্তি পাওয়া শতাধিক নেতাকর্মীকে ‘সাধারণ ক্ষমা’ করা হয় বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২২
এমইউএম/এএটি