ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

২৭ টনের বেশি ওজন নিয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি বন্ধ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২২
২৭ টনের বেশি ওজন নিয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি বন্ধ

শরীয়তপুর: নতুন বছরের প্রথম মাস থেকেই পদ্মা সেতুতে ২৭ টনের বেশি ওজনের যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আসছে। এতদিন সেতুতে ওজন স্বয়ংক্রিয় পরিমাপের ব্যবস্থা না থাকায় সব ধরনের যানবাহন পারাপার করা হয়েছে।

অথচ পদ্মা সেতুতে ২৭ টনের বেশি ওজনের যানবাহন চলাচল নিষেধ। মূলত বাহনের বাড়তি ওজনের কারণে যাতে সেতুর কোনো ক্ষতি না হয়, সে বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, সেতুর জাজিরা ও মাওয়া প্রান্তে শেষ হয়েছে ইলেকট্রিক সেন্সর নিয়ন্ত্রিত ওজন পরিমাপ ওয়েস্কেল বসানোর কাজ। তিন লেনের ওস্কেলের নির্মাণ শেষে চলছে পরীক্ষামূলক পরিমাপ। ডিজিটালের এ পদ্ধতিতে দাঁড়াতে হবে না কোনো গাড়িকে। চলতি পথে পরিমাপ করা হবে যানবাহনের ওজন।

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে গিয়ে সেখানকার কর্মরতদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া যায়। এ সময় বিদেশি প্রকৌশলীদের ওয়েস্কেলের কার্যক্ষমতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দেখা যায়। শ্রমিকরা ওয়েস্কেলের লেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ ও নির্ধারিত লেন তৈরির মার্কিং করছেন। পরীক্ষার জন্য একটি বালু ভর্তি ট্রাক বারবার ওয়েস্কেল অতিক্রম করছে এবং পুনরায় ফিরে আসছে। যানবাহনের প্রকৃত ওজন প্রদর্শিত হচ্ছে ডিজিটাল ডিসপ্লেতে। ওজন বা গতি বেশি হলে বেজে উঠছে সাইরেন।

সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৬৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে ওয়েস্কেল বসিয়েছে। পদ্মা সেতুতে ২৭ টনের বেশি ওজনের যানবাহন চলাচল নিষেধ। উদ্বোধনের পর থেকে পদ্মা সেতুতে এতদিন ওজন স্বয়ংক্রিয় পরিমাপের ব্যবস্থা না থাকায় সব ধরনের যানবাহন পারাপার হয়েছে। এরপর থেকে পদ্মা সেতু পার হতে উভয় প্রান্তে এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে আসা প্রতিটি পণ্যবাহী যানবাহনকে ওজন পরিমাপ করতে টোল প্লাজার আগে নির্ধারিত তিনটি আলাদা লেনে আসতে হবে ওয়েস্কেলে। নির্ধারিত ইলেকট্রিক সেন্সর ও সড়কে থাকা ওজন পরিমাপের বিশেষ ডিভাইসের ওপর দিয়ে পার হতে হবে ওয়েস্কেলের বিশেষ লেন। ২৭ টন পর্যন্ত ওজন বহনকারী যানবাহন টোল পরিশোধ করে গ্রিন জোন দিয়ে সরাসরি পার হবে পদ্মা সেতু। আর বেশি ওজন বহনকারী যানবাহন রেড জোন দিয়ে চলে যাবে টোল প্লাজার পাশে নির্মিত স্টকইয়ার্ডে। সেখানে সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ওজন কমিয়ে পুনরায় ওয়েস্কেলে ওজন পরিমাপ শেষে গ্রিন জোন যানবাহনগুলোকে দিয়ে পদ্মা সেতু পার হতে হবে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মোহাম্মদ ফেরদৌস বলেন, জানুয়ারির শুরু থেকেই ওয়েস্কেলে ওজন পরিমাপ শুরুর চিন্তা রয়েছে আমাদের। বেশি ওজনের যানবাহন পদ্মা সেতু পারাপারের কোনো সুযোগ থাকবে না। জাজিরা ও মাওয়া প্রান্তে সফল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে সংযোগ সড়কের নির্মাণ কাজও শেষের পথে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।